Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি : অর্থ মন্ত্রক সামলানোর ফাঁকে উর্দুচর্চাও চলছে

কখনও ইকবাল, কখনও ফৈজ় আহমেদ ফৈজ়। তাঁর মতে, স্বাধীনতার পরে পঞ্জাব থেকে উর্দুর অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত ভুল।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ০৫:০২
Share:

গুণিজন: পঞ্জাব বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত সিংহ বাদল

প্রকাশ সিংহ বাদল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ই ভাইপো মনপ্রীতকে অর্থমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু জেঠতুতো-খুড়তুতো ভাইদের বনিবনা বেশি দিন রইল না, তাই মনপ্রীত সিংহ বাদল প্রকাশ সিংহ-সুখবীর সিংহ বাদলদের অকালি দল ছেড়ে প্রথমে নিজের দল গড়লেন। পরে কংগ্রেসে গেলেন। কালের নিয়মে এখন তিনি ফের পঞ্জাবে কংগ্রেস সরকারের অর্থমন্ত্রী। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে খটাখটিতে কংগ্রেসের প্রধান বক্তা। পাগড়িধারী সর্দার হলেও উর্দুর ভক্ত মনপ্রীত। সাংবাদিক সম্মেলনের সময়ও তাঁর মুখে শের-শায়েরি। কখনও ইকবাল, কখনও ফৈজ় আহমেদ ফৈজ়। তাঁর মতে, স্বাধীনতার পরে পঞ্জাব থেকে উর্দুর অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত ভুল। নিজে অবশ্য উর্দু শিখেছিলেন বাবাকে চিঠি লেখার জন্য। কারণ, দুন স্কুলে পড়তে যাওয়ার পরে টের পেয়েছিলেন, বাবা গুরুদাস সিংহ উর্দু ছাড়া কিছু জানেন না। বাবার কাছে টাকা চাইতে চিঠি লেখার জন্য উর্দু শেখা মনপ্রীত এখন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা চাইতে গিয়েও উর্দু আওড়াচ্ছেন।

Advertisement

নারদ নারদ

সুপ্রিম কোর্টে, কলকাতা হাই কোর্টে নারদ মামলায় বার বার মুখোমুখি অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও তুষার মেহতা। এক জন তৃণমূল নেতাদের হয়ে। অন্য জন সলিসিটর জেনারেল, মোদী সরকারের হয়ে। সুপ্রিম কোর্টে সিঙ্ঘভি একটা মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে উঠলেন। তখনই মেহতা বললেন, “আমি এর বিরোধিতা করতে চাই।” সিঙ্ঘভি অবাক, “আমি তো এখনও বলিইনি কোন মামলা!” মেহতা বললেন, “আপনাকে দেখলেই মনে হয়, বিরোধিতা করি।” আর এক বার সিঙ্ঘভি বললেন, “আমি তিনটি কথা বলার জন্য তিন মিনিট সময় নেব।” মেহতার ফোড়ন, “মুশকিল হল, ওঁর তিনটি কথা কখনও তিন মিনিটে শেষ হয় না!” ক্ষিপ্ত সিঙ্ঘভি বললেন, “বিচারপতিরা ঠিক করবেন, কত মিনিট সময় দেবেন।” মেহতা হাসতে হাসতে বললেন, “মজা করছিলাম।”

Advertisement

গুরু শিষ্য সংবাদ

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়লে কী ভাবে সময় কাটান? বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় কোভিড থেকে সেরে উঠে জানালেন, আশেপাশে বই ছিল বলেই তিনি অসুস্থতার দিনগুলো কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ভবিষ্যতে প্রধান বিচারপতির আসনে বসার কথা। আদালতের কাজে যোগ দেওয়ার পরে তিনি করোনায় প্রয়াত আইনজীবী সোলি সোরাবজির স্মরণসভাতেও যোগ দিয়েছিলেন। চন্দ্রচূড় জানালেন, আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময় সোরাবজিই ছিলেন তাঁর মেন্টর। তাঁর কথাতেই তিনি বিচারপতির পদ গ্রহণ করেছিলেন। সোরাবজি বিচারপতি হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও যাননি। তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, “আমি কখনও বিচারপতি হওয়ার জন্য আফসোস করিনি।”

কবির নামে

নামমাহাত্ম্য: মাণিকম বাহিরাথা টেগোর

আপনার বাবা কি বাঙালি? না কি মা? তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ মাণিকম টেগোরকে প্রায়ই এ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। অনেকেই ভাবেন, রাহুল গাঁধীর আস্থাভাজন এই তরুণ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে ‘টেগোর’ বা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের নির্ঘাত সম্পর্ক রয়েছে। মাণিকম হাসতে হাসতে বলেন, আসলে তাঁর পদবি টেগোর নয়, নামটাই টেগোর। তাঁর পুরো নাম মাণিকম বাহিরাথা টেগোর। এর মধ্যে মাণিকম হল তাঁর ঠাকুরদার নাম। টেগোর তাঁর নাম। আর বাহিরাথা তাঁর বাবার নাম। বাবা ছিলেন তামিলের শিক্ষক। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব ভক্ত। তাই ছেলের নাম রেখেছিলেন টেগোর। “দিল্লিতে তো সবাই আমাকে মাণিকম বলে ডাকে। ঠাকুমা কিন্তু শুনলেই চটে যায়। ওটা আমার ঠাকুরদার নাম কি না!”— এক গাল হেসে বলেছেন মাণিকম, থুড়ি, টেগোর।

হাতা-খুন্তির কূটনীতি

সুখাদ্যের মাধ্যমে অন্যের হৃদয় ছোঁয়া যায়, কে না জানেন! কিন্তু খাদ্যের সুঘ্রাণের আড়ালে যে কূটনৈতিক মৌতাতের সম্ভাবনাও লুকিয়ে, আবিষ্কার করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিসার্চ (আইসিসিআর)। সংস্থার প্রেসিডেন্ট বিনয় সহস্রবুদ্ধে বিভিন্ন দেশের ভারতীয় রেস্তরাঁর জন্য চালু করলেন অন্নপূর্ণা পুরস্কার। নিজ নিজ এলাকার বিদেশি পেটুকদের যে রেস্তরাঁ সবচেয়ে বেশি কাছে টানবে, তার ভাগ্যেই জুটবে অন্নপূর্ণা খেতাব। মশলা আর রান্নার কারিকুরির মাধ্যমে দেশের ‘সফট পাওয়ার’ যাতে আরও ছড়িয়ে পড়ে ভিন্‌দেশের পাতে— উদ্দেশ্য সেটাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন