পথে প্রসব সোনামণির।— নিজস্ব চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জার্মানি থেকে কলকাতায় ফিরলেন। নিয়ে এলেন শিল্পে সুপবনের কিছু ইঙ্গিত। এ বার সিঙ্গুর দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি।
মদন মিত্র বাড়ি না ফিরলেও অন্তত জেল থেকে বেরিয়ে এলেন। নিজেই বলছেন, এখন শুধু ছুটি আর পুজো আর বাড়ি। অন্য কিছু নয়।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আবার জয় অথবা জাকির নাইককে কেন্দ্র করে কংগ্রেসকে ‘প্যাঁচে’ ফেলার বিজেপি ছক— বিক্ষিপ্ত এই সব খবরের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিল গোটা দেশ। আলোড়নহীন, চমকহীন আপাত-নিষ্কম্প।
আর সেই সময়েই দুর্দান্ত খবরটা এসে পৌঁছল রিও থেকে। প্যারালিম্পিক্স-এ ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিলেন মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু, ব্রোঞ্জ জিতলেন বরুণ সিংহ ভাটি। এই সোনার ছেলেদের দেশের এক জন হিসাবে গর্বিত বোধ করলাম।
এই সেই খবর
কাতর আর্তি দেখেও দেখল না কেউ, রাস্তাতেই প্রসব করলেন সোনামণি
ওই একই দেশের মানুষ হিসাবে লজ্জা বোধ করছি এখন। জাতীয় সড়কের ধারে খোলা আকাশের নীচে শত মানুষের নির্বিকার দৃষ্টির সামনে উদাসীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উদ্যোগহীনতায় ঝাড়খণ্ডের লাতেহারের রাস্তায় সন্তান প্রসব করলেন তিন সন্তানকে পাশে বসিয়ে রাখা এক অসহায় মা! পরিহাস এমনই, ওই তরুণীর নাম সোনামণি। সোনার স্বপ্ন অলীক তাঁর জীবনে, মণি সেখানে কল্পনার বাইরে। ধূসর, রুক্ষ এক পাথুরে রাস্তায় তিনি প্রসব করছেন সন্তান। সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকছি আমরা। এই রাষ্ট্র, এই সমাজ, এই সবাই মিলে আমরা, দেখছি এই দৃশ্য।
এই লজ্জা রাখি কোথায়?