Editorial News

ছিঃ! কোনও ধিক্কারই যথেষ্ট নয়

মরণাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে গণধর্ষিতা হতে হয়েছে শুনলে স্তম্ভিত, বাকরুদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০০:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অভাবনীয় নীচতা! এ রকমও ঘটতে পারে, মানুষের প্রবৃত্তির এত অবনমন ঘটতে পারে! বিশ্বাস করা সত্যিই খুব কষ্টকর! মরণাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে গণধর্ষিতা হতে হয়েছে শুনলে স্তম্ভিত, বাকরুদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।

Advertisement

এ কোন সমাজে বাস করছি আমরা? ন্যূনতম শিক্ষাদীক্ষা বা বোধবুদ্ধি তো সমাজ দেয়। সামাজিক মূল্যবোধ বলে একটা ব্যাপার তো রয়েছে। আলাদা করে সে সবের পাঠ তো নিতে হয় না। মানুষ হয়ে জন্মালেই মনুষ্যত্বের ওইটুকু শিক্ষা অর্জন করা যায়। অন্তত তেমনই জানা ছিল এত দিন। কিন্তু সামাজিকতার বুনিয়াদি অনুভূতিগুলোও যে মানুষ হারিয়ে ফেলতে পারে, উত্তরপ্রদেশের এই হাসপাতালের 'ঘটনা' না শুনলে তা ভাবতে পারতাম না।

মেরঠের এক হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল এক মহিলাকে। অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল তাঁর যে, আইসিইউ-তে রাখতে হয় তাঁকে। ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পরে যা ঘটেছে, তা গোটা সমাজের লজ্জা, কলঙ্ক। সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে আইসিইউ-তে ঢুকে হাসপাতালের তিন কর্মী ধর্ষণ করেছে ওই মরণাপন্ন রোগিনীকে। অভিযোগ অন্তত তেমনই।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন: সিসিটিভি বন্ধ করে আইসিইউয়ের মুমূর্ষু রোগীকে গণধর্ষণ হাসপাতালেরই তিন কর্মীর!

অভিযোগটা সামনে আসা মাত্রই গা গুলিয়ে ওঠে। কোথায় নামছি আমরা। যারা সমাজবদ্ধ জীব নয়, তাদের মধ্যেও এটুকু অনুভূতি থাকে যে, মুমূর্ষু প্রাণের একমাত্র প্রাপ্য হল শুশ্রূষা। মেরঠের ওই হাসপাতালটির কর্মীদের মধ্যে কি সেই বোধটুকুও কাজ করল না? আপাতদৃষ্টিতে তিনটে সুস্থ-সবল মানুষ, তাঁরা একটা হাসপাতালে চাকরিও করেন আবার। সামাজিকতার ন্যূনতম বোধটা তাঁদের মধ্যে জন্মায়নি, এ রকমটা ভাবাই তো কঠিন।

সামাজিক অবক্ষয় বলব, নাকি মানসিক বিকার বলব, নাকি অপরাধোন্মুখ জীব হিসেবে এই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করব, বুঝতে পারি না। দিশাহারা লাগে, বিবমিষা জাগে, অসহায় বোধ হয়। নিম্নগামিতার আর কত রকম নিদর্শন তৈরি হতে দেখব, ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন