Editorial news

হিংসা নয়, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবুন

হিংসা বা অশান্তি কোনও পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়। কিন্তু আমাদের রাজনীতিকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত আমরা করে উঠতে পারিনি এখনও। অতএব বাহুবল মাঝেমধ্যেই হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে আমাদের গণতন্ত্রে।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৯ ০১:০৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

প্রকাশিত হয়েছে দেশের সপ্তদশ সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল। জানা গিয়েছে ভারতবাসীর রায়। যে দল যে পক্ষেই থাক, এখন সময় এই রায়কে শিরোধার্য করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা। কিন্তু সেই পদক্ষেপে না গিয়ে হিংসায় আশ্রয় খুঁজছেন যাঁরা, তাঁরা ভুল পথে হাঁটছেন।

Advertisement

হিংসা বা অশান্তি কোনও পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়। কিন্তু আমাদের রাজনীতিকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত আমরা করে উঠতে পারিনি এখনও। অতএব বাহুবল মাঝেমধ্যেই হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে আমাদের গণতন্ত্রে। কিন্তু এত নির্ণায়ক একটা রায়ের পরে হিংসা কোন কাজে আসবে কোন রাজনৈতিক দলের? জনসাধারণের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে আপাতত যে নিজের নিজের ভূমিকাটুকু বুঝে নেওয়ার পালা, তা কেন বুঝছে না রাজনৈতিক দলগুলো?

নির্বাচন কতটা অশান্ত ও রক্তাক্ত ভাবে কেটেছে আমাদের, সে আমরা সকলেই জানি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসব হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে যে নির্বাচনকে, তাকে ঘিরে বিন্দু প্রমাণ রক্তপাত ঘটলে অপমান হয় সাগর প্রমাণ। কিন্তু সে কথা আমরা আগেও মাথায় রাখিনি, এখনও রাখতে পারছি না। ভোট গণনা শেষ হতেই রাজ্যের নানা প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে অশান্তি। কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মীদের বাড়িঘর বা পরিবার, কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে পার্টি অফিস। কোথাও আবার পার্টি অফিসের দখল নিয়ে রাতারাতি বদলে দেওয়া হচ্ছে ঝান্ডা। বলাই বাহুল্য, এই সব কার্যকলাপ শান্তি বয়ে আনে না। অতএব রাজ্যের নানা প্রান্ত ফের উত্তপ্ত হচ্ছে। ফের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়ে পড়ার উপক্রম হচ্ছে।

Advertisement

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

চুপচাপ বসে থাকার সময় কিন্তু এটা নয়। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সক্রিয় হতে হবে। বিবদমান সব পক্ষকেই সংযত করতে হবে নানা স্তরে। কোনও নেতা বা নেত্রীর মুখ থেকে একটাও প্ররোচনামূলক শব্দের নিঃসরণ চলবে না। বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেব অথবা কাকে কী ওষুধ দিতে হয় আমরাও জানি--- রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখ থেকে এই সব শব্দ ঠিকরে আসছে এখনও। এই ধরনের কথাবার্তা যে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে, তা এই নেতাদের অজানা নয়। তা সত্ত্বেও এই কুনাট্যরঙ্গ বহাল থাকতে দেওয়া কেন?

আরও পড়ুন: রাহুলের ইস্তফা ঠেকাতে নবীন নেতারা দিল্লিতে

আবার বলি, জনতা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে নিজের রায় জানিয়েছে। এই রায়কে সম্মান জানিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের সময় এটা। কোনও পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠা শিখতে হবে, কোনও পক্ষকে আগের চেয়েও বেশি করে দায়বদ্ধ হওয়ার কথা ভাবতে হবে জনতার প্রতি। দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য এবং কার্যকলাপ সম্পূর্ণ বর্জনীয় এখন।

আরও পড়ুন: বাড়িতে হামলা, গুলি ও পার্টি অফিস দখল শুরু

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন