সম্পাদক সমীপেষু: কেন জানব না

সাবির আহমেদের লেখাটি (‘সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘুর কথা বলবে না’, ৩-৫) প্রয়োজনীয়। শুধু আজ নয়, অনেক কাল ধরেই এর প্রয়োজন ছিল। যুক্ত বাংলার বাঙালি মুসলমানের সংখ্যা কোনও দিনই কম ছিল না। তবু বাঙালি হিন্দুরা বাঙালি মুসলমানদের খুব কম জানে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৬ ০০:০৪
Share:

সাবির আহমেদের লেখাটি (‘সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘুর কথা বলবে না’, ৩-৫) প্রয়োজনীয়। শুধু আজ নয়, অনেক কাল ধরেই এর প্রয়োজন ছিল। যুক্ত বাংলার বাঙালি মুসলমানের সংখ্যা কোনও দিনই কম ছিল না। তবু বাঙালি হিন্দুরা বাঙালি মুসলমানদের খুব কম জানে। অন্য দিকে বাঙালি মুসলমান সমাজ হিন্দু ধর্ম, দর্শন, রীতিনীতি সম্বন্ধে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল। কেন এটা হয়েছে আমি ঠিক বুঝতে পারি না। সুদূর অতীতে আমাদের বাংলায় তথা ভারতবর্ষে মুসলমান প্রভাব তো কিছু কম ছিল না। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে নবাবদের অবদান অনস্বীকার্য। আমার প্রতিবেশী আত্মীয় বন্ধু হিন্দুদের মধ্যে বাঙালি মুসলমান সম্পর্কে অজ্ঞতা আমাকে অবাক করে। ধর্মীয় রীতিনীতি তো বাদই দিলাম, আম্তর্জাতিক ভাষাদিবসটি যে বাঙালি মুসলমানদেরই দান সেটুকুও অনেকে জানেন না। সম্পূর্ণ অজ্ঞ। মুসলমানরা বাঙালি নয়, এই আশ্চর্য ঠাট্টার আমি প্রত্যক্ষদর্শী। সীমাহীন মূর্খামির সর্বোচ্চ স্তরের একটি কৌতূহল আজও বাতাসে বহমান। মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলা কী করে! উর্দু বা আরবি নয় কেন? আমাদের এমনই আত্মশ্লাঘা ও জ্ঞানভাণ্ডার।

Advertisement

বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে একটা কথা আসে যে, সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ নামই মুসলিম। সাবির আহমেদ যেমন বলেছেন, কী কারণে ওঁরা পিছিয়ে পড়েছেন এটা আমাদের ভেবে দেখা দরকার। শিশুকাল থেকেই দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণিকে সরল সোজা দেখে এসেছি। তাঁরা পথভ্রষ্ট হলেন কেন? এগুলোও তো ভাববার বিষয়। দুর্বল মুসলমান শ্রেণিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আমরা নিজেদেরই অসম্মান ও ক্ষতি করছি। যথেষ্ট দেরি হয়ে গেছে। এই মুহূর্ত থেকেই দরকার সচেতনতা।

রমা রায়। কলকাতা-৫৩

Advertisement

দু’টি কথা

অসীম চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘...মমতাদেবী আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবার প্রস্তাব দেন যা আমি সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করি’ (২৪-৫)। এখানে বলা দরকার, যে সময়ের কথা তিনি বলছেন, সেই ২০০৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে অসীমবাবু তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতীকেই বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন।

একই পাতায় শিবাজীপ্রতিম বসু লিখেছেন, মমতাই ‘একাধারে তাঁর দল ও সরকার...আঞ্চলিক ইন্দিরা গাঁধীর মতো।’ ভারতীয় রাজনীতিতে এ ধরনের নেতানেত্রীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের যথাযথ ব্যাখ্যার দাবিটা করেছেন তিনি। এ বৈশিষ্ট্যটি যে ঘোর অগণতন্ত্রের সে কথাটা সোজাসুজি বলা যায় না কি?

বিরাম টুডু। কলকাতা-৯৯

কে প্রথম

সমরেন্দ্র মৌলিক (‘শুধু সরকারি সম্মান নয়’, সম্পাদক সমীপেষু, ২৫-৪) লিখেছেন, ভারতের প্রথম বাঙালি প্রধান বিচারপতি তাঁর দাদু ফণীভূষণ চক্রবর্তী। আমার যতটুকু জানা আছে, স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বাঙালি প্রধান বিচারপতি বিজনকুমার মুখোপাধ্যায়। সম্পর্কে তিনি আমার বড়মামা। তিনি ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদের সহপাঠী। তাঁর সম্মানে নামাঙ্কিত কলকাতায় প্রথম বিচারপতিদের আবাসন ‘বিজন ভবন’ এখনও সমুজ্জ্বল।

দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। হাওড়া-১

বাস স্টপে থাকা যায় না

‘উদাসীন যাত্রীরাই, ফাঁকা পড়ে থাকে এসি বাস স্টপ’ প্রতিবেদনের (কলকাতা, ৫-৫) সঙ্গে যে ছবিটি ছাপা হয়েছে তার মধ্যে এক জন উদাসীন আমিও। তবে প্রতিবেদক কষ্ট করে হাডকো মোড়ের ওই বাস স্টপটিতে একটু ঢুকলেই দেখতে পেতেন ওখানে কেন কোনও যাত্রী ঢোকেন না বা বসেন না। বাস স্টপটিতে কোনও বাতানুকূল যন্ত্র নেই। কোনও প্রাকৃতিক হাওয়া চলাচলেরও ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় উদাসীন লোকগুলোই বোধহয় বিচক্ষণ। রোজ ভিআইপি রোড দিয়ে যাতায়াত করি। প্রায় এক বছর আগে নির্মাণ হওয়া লেকটাউন এবং প্রায় ৬-৭ মাস আগে নির্মাণ হওয়া শ্রীভূমি বাস স্টপে বাতানুকূল যন্ত্র লাগানো থাকলেও তা চলে না। সেখানেও যাত্রীরা বাসস্টপের বাইরেই প্রতীক্ষা করেন।

সাগ্নিক চক্রবর্তী। কলকাতা-৫৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন