সম্পাদক সমীপেষু

সাঁতরাগাছির রেল, সড়ক পরিবহণ পরিকাঠামো না বাড়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ চলছে শম্বুক গতিতে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০০:২৪
Share:

দয়া করে একটু দেখুন

Advertisement

দক্ষিণ ভারত থেকে দক্ষিণবঙ্গ, ওডিশা থেকে ঝাড়খণ্ডের হাজার হাজার হাওড়া তথা কলকাতাগামী যাত্রী সাঁতরাগাছিতে নামেন বিদ্যাসাগর সেতু ধরে কলকাতা যেতে। সাঁতরাগাছির রেল, সড়ক পরিবহণ পরিকাঠামো না বাড়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ চলছে শম্বুক গতিতে। সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে বেরোবার একমাত্র পথ এক ফালি সংকীর্ণ আন্ডারপাস (ছবিতে)। বিকল্প রাস্তা নির্মাণ আশু প্রয়োজন। উভয় সরকার সদর্থক ভূমিকা নিক।

সুদর্শন নন্দী রাঙামাটি, মেদিনীপুর শহর

Advertisement

তিনটি কৌশল

জয়ন্ত ঘোষাল লিখেছেন, ‘বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি’ (‘বাংলার মাটি এখনও...’, ১২-৭)— এই শ্লাঘা নিয়ে বাঁচতে চাই, কিন্তু এই গর্বে যখন মাটিতে পা পড়ে না তখন দেখি তলার মাটি কখন আলগা হয়ে গেছে। সেই আলগা মাটির দুর্বলতার সুযোগে যে কালসাপ ঢুকেছে, তার ব্যাখ্যায় ‘ত্রিফলা কৌশল’-এর কথা লিখেছেন লেখক। যে ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে আত্মপক্ষ সমর্থনের তাগিদে আত্মসমালোচনার কথা লিখতে ভুলে গেছেন তিনি। যে দলকে রাজনৈতিক ভাবে কারণ দেখানো হল, তারা তখন কোথায়?

প্রথম কৌশল, ‘দার্জিলিঙের অশান্তির আগুন’ ব্রিটিশ আমলে সিকিম ভেঙে তৈরি। ‘বাংলাকে ভাঙো’ তো অনেক পরের ঘটনা। দ্বিতীয় কৌশল, ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় বাংলাকে ভাঙো’র জন্য কারা উদ্যোগী হয়েছিলেন আর কারাই বা অবিভক্ত বাংলা চেয়েছিলেন? যদি দোষারোপ করতে হয়, তবে তথাকথিত উভয় সম্প্রদায়ই কমবেশি দোষী। আর শুধু তো বাংলা ভাগ হয়নি, এর সঙ্গে ভারত ভাগও হয়েছে। সে সময় এই ভাগাভাগি ঠিক ছিল কি না, তার বিচার এ সময় দিয়ে করা যাবে কি? ভাগাভাগির সময় যে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল, পরে কি আমরা তাকে কাজে পরিণত করতে পেরেছি? বরং অকাজ, কুকাজে আরও জটিল হয়ে গেছে সমস্যা। তৃতীয় কৌশল, ‘সিবিআই নামক রাজনৈতিক অস্ত্র দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নেতাদের বধ করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করো।’ তা হলে প্রশ্ন, বাঙালির ইতিহাসে বামফ্রন্টের ‘৩৪ বছর’ দাগিয়ে যে ফাটা রেকর্ড এখনও বাজিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেখানে সিবিআই কেন ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ ব্যবহারের সুযোগ পায়নি? আর মাত্র এই ক’বছরে যে দুর্নীতির ছবি আর তার লাগাতার সংবাদ ছেয়ে গেল, সেই ভয়ংকর আত্মঘাতী প্রক্রিয়ায় কেন অজস্র ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ পেয়ে গেল সিবিআই? বাঙালির গৌরব যে ধুলায় মিশে যাচ্ছে স্বদেশে, বিদেশে।

আর একটি প্রশ্ন, আমরা ‘সম্প্রদায়’ বলতে নেতিবাচক দিকে মন দিই। যেন সব সম্প্রদায় খারাপ। কিন্তু ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বা ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে যখন মত দিই, তখন প্রতিটি সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র সত্তা ও তার সততাকে যথাযথ মূল্য ও সম্মান দিই। অর্থাৎ ‘সম্প্রদায়’ নেতিবাচক নয়, তা হলে ‘সাম্প্রদায়িক’? এইখানেও সমস্যা আছে। ধরা যাক, এক জন হিন্দু বা মুসলিম, যিনি নিজের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান এবং পরধর্মকে ভয়াবহ মনে করেন না, তিনি যদি নিজেকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে দাবি করেন, তাঁর সম্বন্ধে কি আমরা নেতিবাচক ভাবনা ভাবতে পারি? অবিভক্ত বাংলায় বা বাংলা ভাগ হওয়ার পরেও যদি এই ভাবনায় বিশ্বাস রাখতে পারতাম, তবে আজ আক্ষেপ করতাম না— আগে কি সোন্দর দিন কাটাইতাম। আজকের ‘ত্রিফলা কৌশল’-এর কারণ সে দিনের কোন বীজে সুপ্ত ছিল? অথচ লেখক বিভীষণের দিকে নজর দেননি, রাবণকেই যত নষ্টের গোড়া বলে চিহ্নিত করলেন।

সম্প্রতি সামান্য চারটি শব্দ নিয়ে এক তথ্যচিত্র সেন্সর্ড হল। এ তো শব্দব্রহ্ম। বিচার করুন এই চারটি শব্দের উৎসের সততা। এর কত দূর পরিচয় আমরা দিয়েছি অতীতে? বাংলার মাটিকে দুর্জয় ঘাঁটির উত্তরাধিকার দিতে হলে পাশাপাশি এই দুর্বলতার গঠনমূলক সমালোচনা করতেই হবে। আর সেটা করতে হবে তর্কপ্রিয় ভারতীয় বা বাঙালির ন্যায়বিচারের দর্শনের ভিত্তিতে।

শুভ্রাংশুকুমার রায় ফটকগোড়া, চন্দননগর, হুগলি

খুচরো ঝামেলা

বেশ কিছু দিন হল, দোকান-বাজারে সব রকম খুচরো পয়সা প্রায় অচল হয়ে গিয়েছে। ১, ২, ৫, ১০ টাকার কয়েন দোকান-বাজারে নিতে চাইছে না। বাস, অটো, খেয়ার ভাড়া এমন, যে তা খুচরো পয়সার বিনিময়েই মেটাতে হয়। এই সব জায়গায় কিছু দিন আগেও খুচরো না দিলে চোখ রাঙানো হত, এখন সেখানে খুচরো দিলে রাঙা চোখ দেখতে হচ্ছে। আমাকে চাকরির জন্য দৈনিক খেয়া পারাপার করতে হয়, যেখানে ভাড়া ৪ টাকা। সেখানেও ২ টাকা ১ টাকার কয়েন নিতে চাইছে না। অথচ দশ টাকার নোট দিলে তারা ১, ২ টাকার কয়েনই ফেরত দিচ্ছে। প্রশ্ন করলে বলছে, ‘কেউ নিচ্ছে না, আমরা কী করি বলুন?’

পাঁচ-দশ টাকার কয়েন নিয়ে এমন সমস্যা কিছু দিন আগেও হয়েছিল এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও প্রশাসনের তৎপরতায় তার সমাধান হলেও আবার আগের মতই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্যান্য কয়েনও। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলি, যেমন ব্যাংক, পোস্ট অফিসও এই খুচরো নিচ্ছে না। সমস্যাটি শুরু হয় নোট বাতিল পর্বের সময় থেকে। সেই সময়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলে পাঁচ ও দশ টাকার কয়েনের থলি ধরিয়ে দেওয়া হত এবং দোকানে বাজারে তা নকল ভেবে নিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর হওয়ায় সমস্যা মেটে। ইদানীং সেই ব্যাংকই এ সকল কয়েন নিতে অস্বীকার করার ফলে সাধারণ মানুষ পড়ছে সমস্যায়।

তাপস বিশ্বাস ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

অচল ১

দিনকয়েক আগে ব্যক্তিগত কাজে বনগাঁর মতিগঞ্জ পোস্ট অফিস গেছিলাম। একটা রেভিনিউ স্ট্যাম্প দরকার ছিল। সেই জন্য একটা এক টাকার কয়েন দিয়ে রেভিনিউ দিতে বলি। ওখানকার ক্লার্ক বলেন, ছোট এক টাকার কয়েন চলছে না। আমি কারণ জানতে চাওয়ায় বলা হয়, চায়ের দোকান, বাস, দোকানে নিচ্ছে না, তাই নেওয়া হবে না। জানতে চাইলাম, পোস্ট অফিস আর চায়ের দোকান কি এক? অনেক তর্কের পর উনি দিতে বাধ্য হন।

শুভজিৎ সাহা বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা

অবহেলায় স্তম্ভ

বাঁকুড়া পুরসভার ১৫০ বছর উপলক্ষে অরবিন্দনগর জুনবেদিয়া মোড়ে একটি সুন্দর স্তম্ভ ২০১৬-র ১৫ অগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছিল। স্তম্ভের উপরে খুব সুন্দর তিনটি ঘোড়া নির্মাণ করা হয়। স্তম্ভের দেওয়ালের চারিদিকে অনেকগুলি ফুলের টব বসানো হয়েছিল। অগণিত মানুষ এই সুন্দর দৃশ্য দেখতে জমায়েত হত। এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্তম্ভে ধুলো জমেছে। আলো জ্বলে না আর টবগুলির অস্তিত্ব নেই। পুরসভা ও প্রশাসনকে এখানকার সৌন্দর্য ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাই।

বীরেন সরকার অরবিন্দনগর, বাঁকুড়া

মাথায় শেড

বহরমপুর দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে মাথার উপর শেড খুবই দরকার। এখন কলকাতা যাওয়ার গাড়ি দু’নম্বর থেকে ছাড়ে। যথেষ্ট শেড না থাকায় যাত্রীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।

স্বপনকুমার চৌধুরী। ইন্দ্রপ্রস্থ, খাগড়া, বহরমপুর

দমদমে হকার

দমদম রেল স্টেশনে হকার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। চলাফেরার উপায় নেই। এই সমস্যার কোনও সমাধান আজ পর্যন্ত হল না। অফিস টাইমে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়।

শুভদীপ দাস দমদম

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন