সম্পাদক সমীপেষু: ‘কল্পবিজ্ঞান’ কংগ্রেস!

ব্রজদার দাবি, ভারতবর্ষে প্রাচীন কালে বেতারের অস্তিত্ব ছিল, কারণ অনেক খুঁড়াখুঁড়ি করেও কোনও তার পাওয়া যায়নি! 

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

— ফাইল চিত্র।

‘কল্পবিজ্ঞান’ কংগ্রেস!

Advertisement

• আমাদের বিজ্ঞান কংগ্রেসে যে ধরনের আলোচনা হচ্ছে তাতে একে বিজ্ঞান কংগ্রেস না বলে কল্পবিজ্ঞান কংগ্রেস বলাই ভাল। ডারউইনের বিবর্তনবাদের ভারতীয় সংস্করণ শুনে কবরের মধ্যে ডারউইন হয়তো নড়েচড়ে উঠছেন। রাবণের নাকি অনেক ‘এয়ারক্রাফ্ট’ ছিল! রাফাল ছিল কি না, সেটা অবশ্য বলা হয়নি। স্টেম সেল টেকনলজি ব্যবহার করে কৌরবদের জন্ম হয়েছে! এই প্রসঙ্গে গৌরকিশোর ঘোষের সৃষ্টি ‘ব্রজদা’র কথা মনে পড়ছে। ব্রজদার দাবি, ভারতবর্ষে প্রাচীন কালে বেতারের অস্তিত্ব ছিল, কারণ অনেক খুঁড়াখুঁড়ি করেও কোনও তার পাওয়া যায়নি!

তাপস বসু

Advertisement

নিয়োগীপাড়া, বরানগর

কতটা কল্পনা

• ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি যখন সিরিয়ালে উপস্থাপিত হয়, তখন তাঁদের জীবন সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু যখন পর্দায় বিজ্ঞাপিত হয় তখন স্থান, কাল, চরিত্র, অনেক কিছুই কাল্পনিক। অবাক লাগে। আমরা কী শিখব— রামকৃষ্ণ কাল্পনিক? ধারাবাহিকের কতটা সত্য বলে গ্রহণ করব আর কতটা মিথ্যা বলে বর্জন করব?

আশিস কুমার সেনগুপ্ত

নদিয়া

চিকিৎসার সুবিধে

• আমার দুই মেয়ে, কোনও ছেলে নেই। অনেক কষ্ট করে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি, এখন তারা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিং স্টাফ হিসেবে কাজ করে। তাদের বিয়ের আগে আমরা, তাদের বৃদ্ধবৃদ্ধা বাবা-মা, মেডিক্যাল বেনিফিট পেতাম, কিন্তু তাদের বিয়ের পর থেকে আর পাই না। মেয়েরা বিয়ের পর বাবা-মা’র সম্পত্তির অধিকারী হচ্ছে, অথচ নিজের চাকরির সূত্রে বাবা-মা’র মেডিক্যাল বেনিফিট কেন পাবে না?

সুকুমার রায়

বাটানগর

পরে ঘোষণা

• গত ৩-১২-২০১৮ তারিখে আমি ও আমার স্ত্রী শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে তারকেশ্বর স্পেশাল ট্রেনটিতে উঠি, হাওড়া যাব। কিন্তু হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই ঘোষণা হয়েছে যে ওই ট্রেন কাটোয়া লোকাল হয়ে যাবে। ঘোষণা শুনে হাওড়া স্টেশনের যাত্রীরা এই ট্রেনে ওঠার জন্য এমন হুড়োহুড়ি শুরু করেন, কামরা থেকে কেউই প্রায় নামতে পারছিল না, বিশেষ করে সিনিয়র সিটিজ়েন হওয়ার দরুন আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছিল। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, হাওড়া স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর দু’মিনিট পর ঘোষণা করুন, ট্রেনটা কোথায় যাবে।

গোপাল চন্দ্র মোদক

বৈদ্যবাটি, হুগলি

মোটর ভ্যান

• এখন পশ্চিমবঙ্গের শহরতলিতে টোটো-কে টেক্কা দেওয়ার জন্য বহু ভ্যানরিকশা চালক নিজেদের ভ্যানে ইলেকট্রিক মোটর লাগিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে নতুন টোটো না কিনেও এবং বিনা লাইসেন্সেই তাঁরা নিজেদের পুরনো ভ্যানরিকশাটির গতিবেগ বাড়াতে পারছেন। এই সব ভ্যান পণ্যের পাশাপাশি ৬-৭ জন যাত্রী বহন করছে। মোটরচালিত যানে হাইড্রলিক ব্রেকিং সিস্টেম এবং ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এই ভ্যানরিকশাগুলিতে পুরনো মেকানিকাল ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে, যা মানুষচালিত কম গতিবেগের ভ্যানের উপযোগী,

কিন্তু বেশি গতিবেগের মোটরভ্যানের পক্ষে মারাত্মক। তা ছাড়া পুরনো ভ্যানগুলির টায়ারের ক্ষেত্রফল অনেক কম হওয়ার কারণে, তা ব্রেকিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় ট্র্যাকশন লাভ করতে অক্ষম। এই সমস্ত কারণে বহু দুর্ঘটনা ঘটছে মোটরভ্যানের ক্ষেত্রে। তা ছাড়া চারি দিক উন্মুক্ত থাকার জন্য যাত্রীরা, বিশেষত শিশুরা অরক্ষিত থাকছে। তাই কেরোসিন চালিত মোটরভ্যানের মতো, ব্যাটারিচালিত মোটরভ্যানও বেআইনি ঘোষণা করা হোক।

পার্থসারথি অধিকারী

বনগ্রাম

দেবনাগরী লিপি

• কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃত স্নাতকের (সংস্কৃত অনার্স ও পাশ) নতুন সিলেবাসে দেবনাগরী অক্ষরে লেখা বাধ্যতামূলক করেছে। তা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?

দেবনাগরী লিপিতে উত্তর লেখার জন্য চাই দীর্ঘ দিনের অনুশীলন। উচ্চ পর্যায়ে যাঁরা সংস্কৃত পড়েন, অধিকাংশই বাংলা মাধ্যম স্কুলের ছাত্রছাত্রী, যাঁদের সংস্কৃত জ্ঞান সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতেই সীমাবদ্ধ। এঁদের মধ্যে যাঁরা একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে সংস্কৃত পড়েন, তাঁদের যদি ওই সময়ে দেবনাগরী অক্ষরে উত্তর লেখার অনুশীলন করানো হয়, তা হলে আর পড়ানো হবে না।

বাংলা লিপিতে যেমন দু’টি ‘ব’ রয়েছে, দেবনাগরীতেও তাই। দেবনাগরীতে একটির পেট কাটা, অন্যটির নয়। পেট কাটা ‘ব’ হল ‘বর্গীয় ব’, অর্থাৎ, ‘প’ বর্গের অন্তর্ভুক্ত। আর পেট কাটা নয় যে ‘ব’, সেটি ‘অন্তঃস্থ ব’। অর্থাৎ, য, র, ল, ব— এই তালিকাভুক্ত। এই ‘ব’ স্পর্শবর্ণ (ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণ) এবং উষ্মবর্ণের (শ, ষ, স, হ) মধ্যবর্তী বর্ণ হওয়ার জন্য এই ‘অন্তঃস্থ ব’ নামকরণ। দেবনাগরীর ক্ষেত্রে যত্রতত্র এই দু’টি ব-কেই প্রয়োগ করা যায় না। সন্ধি, প্রত্যয় প্রভৃতির ফলে যে ‘ব’ উদ্ভূত হয়, তা ‘অন্তঃস্থ ব’, তা ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘বর্গীয় ব’। উত্তর লেখার সময় ছাত্রছাত্রীরা এই ‘ব’ বিভ্রাটের সমাধান কী ভাবে করবে?

যদিও এ বিষয়ে পরীক্ষা সদ্য সমাপ্ত হয়েছে, এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিবেচনা করা হোক।

পৃথ্বীশ চক্রবর্তী

কলকাতা-১৪০

সাত ‘কাহন’?

• সাত কাহন কথাটা খুব শোনা যায়। আপনাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপিত হয় ‘সাত দিনে সাত কাহন’। আকাশবাণী গীতাঞ্জলি কেন্দ্রেও প্রতি বুধবার ও শনিবার দুপুর দুটো পাঁচ মিনিটে প্রত্যাশা অনুষ্ঠানে বলতে শোনা যায়, ‘নিপীড়িতা ও নির্যাতিতাদের সাত কাহন’। ‘কাহন’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ ষোলো পণ। কুড়ি গন্ডা বা ৮০টিতে এক পণ। অতএব ‘সাত কাহন’ মানে দাঁড়ায় ৭x১৬x৮০=৮৯৬০। অতএব ‘সাত কাহিনি’ অর্থে এর প্রয়োগ করা ভুল। বরং ‘সাত কহন’ বললে ঠিক হত।

কানাইলাল সাঁতরা

কুমিরদা, পূর্ব মেদিনীপুর

দাম লেখা থাক

• এখন প্রায়ই এলপিজি-র দাম বদলায়, প্রতি মাসে রেশনে কেরোসিনের দাম বাড়তেই থাকে। কিন্তু প্রায় কোনও দোকানেই ক্রেতার সমক্ষে কোনও রেট বোর্ড টাঙানো থাকে না। দোকানদার বেশি দাম আদায় করেন। ক্রেতা ও বিক্রেতার বচসা প্রতি মাসের ব্যাপার। এলপিজি-র ক্ষেত্রে, অনেক সময় ডেলিভারি বয় বেশি দাম চান। তাই অনুরোধ, আপনাদের কাগজে যেমন পেট্রল, ডিজ়েলের দাম লেখা থাকে, তেমন এলপিজি-র দাম ও রেশনে কেরোসিনের দাম লেখা থাক।

বিশ্বজিৎ মৈত্র

কলকাতা-১৯

শিঙাড়া

• অনুকরণপ্রিয় হিসেবে বাঙালির নাম আছে। ইদানীং শিঙাড়া খেতে গিয়ে সে কথাটা খুব মনে হয়। কলকাতা শহরের কথা জানা নেই, কিন্তু মফস্‌সলের মিষ্টির দোকানগুলোতে, বাঙালি ধরনের শিঙাড়া বিলুপ্ত, তা এখন অবাঙালি সমোসা। শিঙাড়া থেকে ভাজা বাদাম, ফুলকপির টুকরো উধাও। সমোসা থাকুক, কিন্তু শিঙাড়ার পুরনো স্বাদ ফেরত চাই।

অরূপরতন আইচ

কোন্নগর, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন