Agriculture

সম্পাদক সমীপেষু: চাষির কী লাভ?

এই যে কৃষি-পরিকাঠামো গড়ার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষিত হল, এটা আসলে ঋণদানের নতুন ফাঁদ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ০০:০১
Share:

ছবি: সংগৃহীত

‘বলরামে শরণ, চাষিকে টাকা’ (১০-৮) প্রসঙ্গে বলতে চাই, কৃষকের দুর্দশা দূর করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প থাকলেও, সেগুলি প্রকৃত দুর্দশাগ্রস্ত চাষিকে মুক্তি দিতে পারেনি। সাধারণত এতে উপকৃত হয়ে থাকেন খুব করিতকর্মা, চালাক-চতুর কিছু ব্যক্তি, যাঁদের অনেকে হয়তো চাষি নন।

Advertisement

এই যে কৃষি-পরিকাঠামো গড়ার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষিত হল, এটা আসলে ঋণদানের নতুন ফাঁদ। অথবা, পুঁজিপতিদের সুযোগ করে দেওয়া। বড় গুদাম, হিমঘর, বারোমেসে রাস্তা, এ সব গরিব প্রান্তিক চাষি ঋণ নিয়ে গড়তে যাবেন কেন? তার জন্য নাকি দু’কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে কৃষক ক্লাব, কৃষক-উৎপাদক সংগঠনগুলিকে, কোনও ব্যক্তি চাষিকে সরাসরি নয়।

বলা হয়েছে, এই সব পরিকাঠামো গড়ে তুললে কৃষক তাঁর উৎপাদিত ফসল বা পণ্য গচ্ছিত রেখে পরে বেশি দামে বেচতে পারবে। বাস্তব হল, ঋণ আর সুদ মেটাতে ভারতীয় কৃষককে অভাবী বিক্রি করতেই হয়। ফসল ধরে রাখার ক্ষমতা তাঁর নেই। তা-ও আবার স্থানীয় মান্ডিতে নয়, বহু দূরে আরও বড়, আধুনিক মান্ডিতে নাকি ফসল রাখবেন ছোট চাষি! কী করে সম্ভব? সময় কোথায় তাঁর?

Advertisement

তপোময় ঘোষ

শিবলুন, পূর্ব বর্ধমান

চাই মোবাইল

দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্য সরকার দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল দিচ্ছেন। গ্রামীণ একটি স্কুলের শিক্ষকতার সূত্রে বলতে পারি, অনেকেই সেই সাইকেল বেচে মোবাইল বা অন্য শখের জিনিস কিনছে। এখন অনলাইন ক্লাস নিতে গিয়ে দেখছি ক্লাসের ১০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি সুবিধা নিয়ে ক্লাসে থাকছে। বাকিরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমার অনুরোধ, ছাত্রছাত্রীদের সম্মতি নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে সাইকেলের পরিবর্তে মোবাইল দেওয়া হোক। এতে ওরা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

নিমিত দত্ত

নানুর, বীরভূম

কন্যাশ্রী

আমার কন্যাশ্রী প্রকল্প ২-এর টাকা ২০১৮ সালে পাওয়ার কথা। এখনও পেলাম না। বর্ধমান কন্যাশ্রী অফিসে গেলে ওঁরা বললেন, আমার টাকা ফেরত গিয়েছে, এবং অভিযোগ লিখে নিলেন। পরে অফিসে যোগাযোগ করলে বলা হল, বিকাশ ভবনে যোগাযোগ করতে। বাধ্য হয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ওয়েব পেজ-এ অভিযোগ করি। কিন্তু কাজ হয়নি। কমপ্লেন নম্বর চেক করলে দেখাচ্ছে, ডিপিএমইউ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। কী ভাবে আমি টাকা পাব?

জান্নাতুননিসা খাতুন

পারাজ, পূর্ব বর্ধমান

ফিরে পেয়েছি

অধ্যাপকের দু’টি ল্যাপটপ চুরি যাওয়ার খবর (‘চারতলার ফ্ল্যাট থেকে সাতসকালে চুরি হল অধ্যাপকের ল্যাপটপ’, ৩-৮) প্রসঙ্গে জানাই, ওই ল্যাপটপ দু’টি আমার ও আমার স্ত্রী’র। ৯ অগস্ট পাটুলি থানার পুলিশ যখন আমাকে ডেকে পাঠায়, তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, ওগুলো ফেরত পাওয়া গিয়েছে। ল্যাপটপ দু’টি চালিয়ে দেখতে বলেন পুলিশ অফিসার। আশ্চর্য হলাম দেখে, সমস্ত তথ্য অবিকৃত আছে। আমার গত দু’বছরের গবেষণার কাজ, বিশেষত অতিমারির পাঁচ মাসের কাজ আমার ও আমার সহযোগী অধ্যাপক ও ছাত্রদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই সব তথ্য অটুট আছে। বহু মানুষের সাহায্য পেয়েছি। আমার আবাসনের এক প্রতিবেশী তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেন। বিশেষ কৃতিত্ব দিই পাটুলি থানার তিন অফিসার, অতনু রায়, বিমল দাস ও গৌতম মণ্ডলকে। অফিসার-ইন-চার্জ সৌম্য ঠাকুরকে ধন্যবাদ জানাই সহযোগিতার জন্য।

শ্যামল দানা

কলকাতা-৯৪

আধার

এখন আধার কার্ড আপডেট করার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির গেজ়েটেড অফিসার দিয়ে ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার যে পদ্ধতি রয়েছে, তার মেয়াদ ৯০ দিন। আমার মায়ের আধার কার্ডে জন্মতারিখ ভুল থাকায় সংশোধনের জন্য নাম লিখিয়ে প্রায় দেড় মাস অপেক্ষার পর মার্চ মাসের ১৭ তারিখ ফর্ম পাই, এবং এক জন প্রথম শ্রেণির গেজ়েটেড অফিসারকে অনেক অনুরোধ করে ফর্ম পূরণ করাই ২৩ মার্চ। কিন্তু এর পরেই ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় আধার কার্ডের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ৯০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যায়। বর্তমানে অতিমারির জন্য তিনি নতুন করে ফর্ম পূরণ করতে রাজি নন। অসুস্থ মা-কে নিয়ে বার বার ছোটাছুটি করা খুব কষ্টদায়ক। আধার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই, লকডাউন পরিস্থিতিতে গেজ়েটেড অফিসারের স্বাক্ষরের বৈধতার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হোক।

অর্ণব সরকার

কলকাতা-৮৩

শুধু হিন্দি?

কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র কৃত্যক কমিশন আয়োজিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ‘প্রিলিম’ এবং ‘মেন’-এর প্রশ্নপত্র হয় হিন্দি ও ইংরেজিতে। অ-হিন্দিভাষীরা সকলেই বাধ্য হন ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্র বাছতে। অথচ হিন্দিভাষী পরীক্ষার্থীরা মাতৃভাষায় প্রশ্নপত্র পান। এই ভাষাগত বৈষম্য প্রতিযোগিতাকে একপেশে করে তুলছে।

সংবিধানের অষ্টম তফসিলে ২২টি ভাষা আছে। ইংরেজির পাশাপাশি সেখানে শুধুমাত্র হিন্দিকে গুরুত্ব দেওয়ায় অন্য ভাষার পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা সংবিধান-বিরোধী। যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা মাতৃভাষায় দেওয়ার অধিকার সকল ভারতবাসীর আছে। এ বিষয়ে অতীতে অনেক আন্দোলন হয়েছে, যার ফলে ১৯৬৯ সালে এক বার সর্বভারতীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা ইংরেজি ও হিন্দির সঙ্গে যে কোনও আঞ্চলিক ভাষায় নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হিন্দি বলয়ে হওয়ার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। একমাত্র রেলমন্ত্রকের নিয়োগ ইংরেজির পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষায় হয়।

শ্রীমন্ত দাস

জাঙ্গিপাড়া, হুগলি

ব্রাত্য যোদ্ধা

এখন মোবাইলে কল করলেই শোনা যায়, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাফাই কর্মচারী করোনা যোদ্ধা। এঁদের সম্মান করুন। হয়তো সেই সম্মান বজায় রাখতে রেলও তাঁদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে রেলের কর্মচারীদের বহনের পাশাপাশি এঁদেরও যাতায়াতের সুযোগ দিচ্ছে। অথচ, আর এক শ্রেণির কর্মীরাও সেই প্রথম থেকে অবিরাম ডিউটি করে যাচ্ছেন। তাঁরা, ব্যাঙ্ক কর্মচারী। অনেকেই বহু দূরের গ্রামে প্রতি দিন যাতায়াত করছেন বহু অর্থব্যয় করে। রেল কি পারে না প্রায় খালি কামরাগুলোয় তাঁদের জায়গা দিতে?

গোপালচন্দ্র টিকাদার

কলকাতা-৬৫

অসহায়

চোখের সামনে দেখছি দুই মহিলার নিদারুণ কষ্ট। দু’জনেই লোকের বাড়ি বাসন মাজা, ঘর মোছার কাজ করেন। এক জনের স্বামী নিরুদ্দেশ। তাঁর ১৩-১৪ বছরের কন্যা আছে। আর এক জনের বিধবা মা আছেন , তিনি বিধবা ভাতা পান না। ওই দুই নারী ঘাম ঝরিয়ে নিজের কন্যা ও মায়ের উদরপূর্তির জন্য দিনাতিপাত করছেন। এই রকম বিপন্ন, সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় নারী বাংলার গ্রামে, শহরে অগণিত আছেন। এঁদের জন্য বিশেষ কোনও সরকারি প্রকল্প চালু করা হোক।

সৈয়দ আনসার উল আলাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন