সম্পাদক সমীপেষু: বেমানান মন্তব্য

মন্ত্রীর বদলে কোনও দলীয় নেতার মুখ থেকে শোনা গেলেই ভাল হত না?

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

ভারতে অ্যামাজ়ন ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণার পরের দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বললেন, ভারতের কোনও সুবিধে করছে না অ্যামাজ়ন! এই মন্তব্য অনভিপ্রেত।

Advertisement

অ্যামাজ়নের মতো বহুজাতিক ই-কমার্স সংস্থায় কেনাকাটার সুযোগ-সুবিধের কথা সুবিদিত। তা ছাড়া এত বড় বিনিয়োগ হলে দেশবাসীর কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, সংশয় নেই। দেশের অর্থনীতি যেখানে বেহাল, চাকরির বাজার এত খারাপ, সেখানে মন্ত্রিমশাইয়ের এই মন্তব্য ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশের ক্ষতি করল বলেই মনে হয়। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা তাঁর থাকতেই পারে, কিন্তু এই কথাটা মন্ত্রীর বদলে কোনও দলীয় নেতার মুখ থেকে শোনা গেলেই ভাল হত না?

তারেক রহমান

Advertisement

কলকাতা-৮৬

ওয়াই-ফাই

গত ২-২-২০২০ তারিখে কলকাতা বিমানবন্দরে নামি, মিশিগান (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) থেকে আবু ধাবি হয়ে, ভোর তিনটের সময়। বিমানবন্দরে নামার খবর ও গাড়ির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার জন্য বাড়িতে যোগাযোগ করার খুব দরকার ছিল। আমার মোবাইল ফোনে ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ের সুবিধা না থাকার জন্য, যোগাযোগ করতে পারিনি। অথচ বিমানবন্দরে ওয়াই-ফাই’এর জন্য দেশের মোবাইল সংযোগ থাকা জরুরি। ওয়াই-ফাই সংযোগ করতে হলে দেশের নম্বরে একটি ওটিপি আসে। অনেক দিন বাইরে থাকলে দেশের সিম রাখা সম্ভব হয় না। আবার ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ের সুবিধা না থাকলে, বিমানবন্দরের বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয় না। আবার যাঁরা ট্রানজ়িটে থাকেন, তাঁরাও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। পৃথিবীর সমস্ত বিমানবন্দরে, এমনকি আমাদের দেশের অনেক বিমানবন্দরে, ফ্রি ওয়াই-ফাই থাকার জন্য পুরোপুরি বা কিছু সময়ের জন্য ওটিপি ছাড়া যোগাযোগ করা যায়। সুতরাং কলকাতা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করতে হলে অন্যান্য দেশের মতো যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও উন্নত করতে হবে।

প্রতীক চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা-৭৪

বিদ্যুতের লাইন

‘হাই টেনশন লাইন সরানোর নির্দেশ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার’ (৯-১) শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাড়ি বা ছাদের কাছে যদি কোনও ওভারহেড হাই টেনশন বা লো-টেনশন লাইন থাকে, তা নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে এবং এটা গোটা রাজ্য জুড়ে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত রাধামনি থেকে ৩৩০০০ ভোল্টের হাই টেনশন ইলেকট্রিক লাইন পাঁশকুড়ার বেড়াবেড়িয়া সাব পাওয়ার স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কাজ বিগত কয়েক মাস ধরে চলছে।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাস-রাস্তার ধারে ঘন জনবসতি পূর্ণ এলাকার মধ্য দিয়ে পিডব্লিউডি-র জায়গার মধ্যে প্রয়োজনমতো পাওয়ার লাইনের খুঁটি বসানোর কাজ করছে ও হাই-টেনশন ইলেকট্রিক লাইন টানছে। এটা করতে গিয়ে বাসরাস্তার ধারে বিভিন্ন দোকান, স্কুল, কলেজ, এমনকি গৃহস্থ-বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে যে কোনও মানুষের নাগালের মধ্যে মাটি থেকে সামান্য উচ্চতায় বৈদ্যুতিক লাইন টানছে। তা ছাড়া এই হাই ভোল্টেজ ট্রিপল লাইন গুলোতে কোনও রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখা নেই। বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুল এবং মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের একেবারে গা ঘেঁষে খুঁটি বসিয়েছে। ভবিষ্যতে কোনও অঘটন ঘটলে তার দায় বিদ্যুৎ কোম্পানি নেবে তো?

সুদীপ্ত মণ্ডল

পূর্বকোলা, পূর্ব মেদিনীপুর

বনভোজন

দুর্গাপুর দামোদর ব্রিজের চার পাশ খুবই দর্শনীয় এবং মনোরম ছিল। ব্যারেজের দু’পারে ডিভিসি-র তত্ত্বাবধানে রকমারি ও রংবাহারি ফুলের বাগান ছিল। ছিল পানীয় জল, যাত্রিশেড, বসার জন্য শানবাঁধানো বেঞ্চি এবং নিরাপত্তারক্ষী থাকত ২৪ ঘণ্টা। বর্তমানে সব উধাও। তথাপি প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে দল বেঁধে মানুষ আসেন বনভোজনের জন্য। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকেও শিক্ষামূলক ভ্রমণে আসা হয়। সকলে এসেই রান্না শুরু করেন, ফলে কাঠের কয়লা, কেরোসিন বা গ্যাসের উনুনের দূষণ ঘটে। সেই সঙ্গে চলে মাইক বাজিয়ে প্রচণ্ড জোরে গান। তার পর রয়েছে ঝগড়া, অকথ্য ভাষা ব্যবহার, মায় মারদাঙ্গা। অনেকেই মাছ, মাংস, ডিম, সব্জির অবশিষ্ট অংশ, প্লাস্টিক, থার্মোকলের থালা, প্লেট, গেলাস, বাটি, জলের বোতল, মদের বোতল-সহ নানা সামগ্রী ফেলে যান। আর তার সঙ্গে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের ভয়াবহ দূষণ তো অাছেই।

দুলাল চন্দ্র সরকার

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান

পেনশন বৃদ্ধি

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতনবৃদ্ধি সম্পর্কিত নির্দেশনামা রোপা ২০১৯ অনুসারে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বর্ধিত বেতন ও পেনশন পাওয়ার কথা। কিন্তু জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস অজ্ঞাত কারণে ২০১৬ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য নির্ধারিত অপশন ফর্ম জমা নিচ্ছে না। ফলে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন বৃদ্ধি কবে হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

কমলকৃষ্ণ দে

কলকাতা-৫০

বাবুঘাটে

বাবুঘাট অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরেই দূরপাল্লা বাসের স্ট্যান্ড। কিন্তু যখন এই বাসগুলোকে আড়াআড়ি ভাবে ঘোরানো হয়, পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনেক বছর হল ধুলাগড়ে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখানে কোনও দূরপাল্লার বাস দাঁড়ায় না। এ ছাড়াও বাবুঘাট থেকে স্ট্র্যান্ড রোডের দু’পাশে অনেক সরকারি ও প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করা থাকে। ফলে জ্যাম বাড়ে।

অভিজিৎ দাস

হাওড়া

চেকপোস্টে চা

সংবাদপত্রে পড়লাম, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ শীতের রাতে বিভিন্ন চেকপোস্টে ট্রাক চালকদের চা-কফি বিনামূল্যে খাওয়াচ্ছে। চোখে-মুখে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সামনের রাস্তার কী অবস্থা, সে বিষয়ে ট্রাক চালকদের বিস্তারিত জানানো হচ্ছে। শীতের রাতে ট্রাক চালাতে চালাতে অনেক সময় চালকেরা ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্যই এই সব ব্যবস্থা। এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র পুলিশ প্রশাসন গ্রহণ করুক।

বিজনকুমার মিত্র

চুঁচুড়া, হুগলি

গাদিয়াড়া

গাদিয়াড়া উন্নয়নে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের এত ঢিলেমি কেন? কয়েক বছর ধরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাসস্ট্যান্ড তৈরি হলেও, বাস কোথায়? এক এক করে অনেক রুটের বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। এখন অটো আর টোটো ছাড়া বাস প্রায় ডুমুরের ফুল। তা ছাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারি লজ পর্যন্ত পিচ-রাস্তাটি অনুমোদন পেলেও, অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। রাত্রিতে রাস্তায় কোনও আলো নেই। চারিদিক ধুলোয় ভর্তি। সারা দিন পর্যটক বা পথচারীদের নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

অমল কান্তি মেটিয়া

শ্যামপুর, হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন