সম্পাদক সমীপেষু: গড় মান্দারণ

সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র যখন জাহানাবাদ (বর্তমানে আরামবাগ) মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তখন তিনি এই গড় মান্দারণকে কেন্দ্র করে উপন্যাস রচনা করেছিলেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ০০:০৫
Share:

হুগলি জেলার কামারপুকুরের অদূরে রয়েছে গড় মান্দারণ পর্যটনকেন্দ্র। এই পর্যটন কেন্দ্রের এক ঐতিহ্য রয়েছে। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র যখন জাহানাবাদ (বর্তমানে আরামবাগ) মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তখন তিনি এই গড় মান্দারণকে কেন্দ্র করে উপন্যাস রচনা করেছিলেন। সম্প্রতি এখানে এসে দেখলাম পাখিরালয়, ময়ূর, হরিণ, খরগোশ প্রভৃতির বিচরণক্ষেত্র বিলুপ্ত হয়েছে। শিশু উদ্যান এবং মাজারটিরও ঠিকমত দেখভাল হয় না। অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় আছে। এখানে আসার সংযোগকারী রাস্তারও বহু দিন সংস্কার হয়নি। ফলে চার-চাকা গাড়ি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার অসুবিধা হয়। প্রাইভেট গাড়ি এবং পর্যটকদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু পর্যটকরা সে ভাবে পরিষেবা পান না। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যেখানে মানুষের যাতায়াত, সেখানে টয়লেটের সংখ্যা অতি নগণ্য।

Advertisement

স্বপনকুমার ঘোষ

শিবপুর, হাওড়া

Advertisement

জেলাভিত্তিক

পশ্চিমবঙ্গের সব ক’টি জেলায় পঞ্চায়েতকর্মী, যেমন, গ্রাম পঞ্চায়েত সহায়ক, নির্মাণ সহায়ক, সেক্রেটারি প্রভৃতি পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয় জেলাভিত্তিক। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাপরিষদ নিয়োগ করে জেলাভিত্তিক। নিয়োগ কমিটিতে জেলাপরিষদের সভাধিপতি মাথায় বিরাজ করেন। বিভিন্ন সময় স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তাই প্রতিটি জেলায় পঞ্চায়েতকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হোক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দ্বারা। এতে শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচারিত হবে। প্রসঙ্গত, জেলাভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচার না পাওয়ায়, অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আবেদন করতে পারেন না, খবর না পাওয়ার ফলে।

আব্দুল জলিল সরকার

বক্সিগঞ্জ, কোচবিহার

যাত্রীতালিকা

সংরক্ষিত কামরার গায়ে যাত্রী তালিকা সাঁটা বন্ধ হতে চলেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মানুষকে হয়রানির মুখে ঠেলে দেবে। ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মগুলোতে মালপত্র গুছিয়ে কামরায় উঠতে একেই গলদঘর্ম অবস্থা, আর হাওড়া শিয়ালদহ স্টেশনগুলোয় তো আরও দুরবস্থায় পড়তে হবে। যদিও প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল ও ছাপা তালিকা থাকবে, তাড়াহুড়োতে সে-দিকে যাত্রীদের নজর রাখা কঠিন।

রত্না রায়

হিলি মোড়, দক্ষিণ দিনাজপুর

তারকেশ্বর

পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশনে তারকেশ্বর স্টেশনকে মডেল স্টেশন রূপে স্বীকৃতি দিলেও, এখনও স্টেশনের অনেক কাজই অসম্পূর্ণ। ১নং প্ল্যাটফর্মের পূর্বাংশে ও ২নং এবং ৩নং প্ল্যাটফর্মের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের বর্ষায় কাকভেজা ভিজতে হয়, গ্রীষ্মে দগ্ধ হতে হয়। পানীয় জলের ব্যবস্থা আশাব্যঞ্জক নয়। ১নং প্ল্যাটফর্মের পূর্ব দিকে তৈরি শৌচালয়টি ২০১৬ সালের জুন মাসে সূচনা হলেও এখনও যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। ২নং প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম দিকে মহিলাদের শৌচালয়টি ব্যবহারের উপযোগী নয়। দুর্গন্ধে ভিতরে ঢোকা যায় না।

শান্তা ভৌমিক

তারকেশ্বর, হুগলি

সীমান্তে

পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম। অভিবাসন ছাড়পত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ভারতে প্রত্যাবর্তনের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর হয়নি। সীমান্ত পারাপারের জন্য দীর্ঘ লাইন। যার অধিকাংশটাই খোলা আকাশের নীচে। বসার জায়গা এবং শৌচালয়ের অভাব প্রকট। বয়স্ক, শিশু এবং মহিলাদের দুর্ভোগ অনুমেয়।

ধীরেন্দ্র মোহন সাহা

কলকাতা-১০৭

গ্রামের ব্যাংক

আমার পৈতৃক বাড়ি বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া পাহাড় থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। ওই অঞ্চলের গ্রাহকরা ব্যাংকে টাকা তুলতে ও জমা দিতে পদে পদে বিপদে পড়েন। ব্যাংকে প্রায়ই লিংক থাকে না। অনেক সময় লিংক থাকলেও, টাকা মজুত থাকে না। ম্যানেজার জানান, এই ব্যাংকের টাকা গচ্ছিত রাখা নিয়ম মেনে (ব্যাংকের ভাষায় ‘রিটেশন লিমিট’) করতে হয়। অনেক গ্রামের ব্যাংকে পানীয় জল ও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। আবার ব্যাংকের কাগজপত্র সব ইংরাজি হরফে ছাপা। অনেক ব্যাংকেই কর্মিসংখ্যা কম।

বীরেন সরকার

অরবিন্দ নগর, বাঁকুড়া

অনাবাসী

কেন্দ্রীয় সরকার গত ৩ অক্টোবর, ২০১৭-র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অনাবাসী ভারতীয়, যাঁদের সরকারি নিয়মেই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) অ্যাকাউন্ট চালু আছে, তা বর্তমানে বন্ধ করে দিতে হবে এবং যে-দিন থেকে অনাবাসী হয়েছেন সেই দিন থেকে পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারে সুদ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত আগেকার নিয়মে বেশি সুদের ভরসাতেই অনাবাসী ভারতীয়রা তাঁদের পিপিএফ অ্যাকাউন্ট অনেক বছর ধরে চালু রেখেছেন বিদেশি মুদ্রায় টাকা পাঠিয়ে। সরকারি আদেশে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হলেও ৩ অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত বেশি হারে সুদ না দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি মুদ্রা দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করার পর হঠাৎ অতীতের কোনও তারিখ থেকে প্রতিশ্রুত সুদ বন্ধ করা অনৈতিক।

অনাবাসী ভারতীয়দের এ-দেশে এনআরই এবং এনআরও অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য কোনও সাধারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখার নিয়ম নেই। বিদেশি মুদ্রায় পাঠানো টাকা আয়করবিহীন এনআরই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এ-দেশে কোনও আয় হলে তা এনআরও অ্যাকাউন্টে জমা হয়, যা থেকে প্রাপ্ত সুদে ব্যাংক শতকরা ত্রিশ টাকা পর্যন্ত আয়কর (টিডিএস) কাটে। সরকারি বিজ্ঞপ্তির ফলে পিপিএফ থেকে পাওয়া টাকা বিরাট অঙ্কের পুরো টাকাটাই এনআরও অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে, যে টাকা এত দিন এনআরই অ্যাকাউন্ট থেকেই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে।

সুব্রত দাশগুপ্ত

কলকাতা-৫৫

রায় পরিবার

‘‘রায়’ পরিবারের রায়’ শীর্ষক (রবিবাসরীয়, ১১-২) বক্স খবরটি অনুযায়ী, পাঠভবনের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলন উৎসবে, কুইজের বিষয় ছিল ‘রায় পরিবারের সাহিত্য’। তা নয়। সাহিত্যের সঙ্গে চলচ্চিত্রেরও (সৌজন্য: সত্যজিৎ রায়) মিশেল ছিল এবং মূল পর্বের প্রশ্নগুলি সেই কারণেই ছিল অডিয়ো-ভিশুয়াল। আর কুইজটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘এখন সত্যজিৎ’ পত্রিকার সৌজন্যে (প্রশ্ন চয়ন, তৈরি এবং কারিগরি উপস্থাপনা)।

সোমনাথ রায়

সম্পাদক: এখন সত্যজিৎ

সস্তার মাশুল

‘ট্রাই-এর বার্তা’ (১৭-২) সংবাদে পড়লাম: ‘বাজারের প্রতিযোগিতার নিয়ম ভেঙে খুব সস্তার মাশুল স্থির করলে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানা করা হবে।’ কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক বাজার অর্থনীতির নিয়ম তো এটাই, কোনও সংস্থা তার লাভের অঙ্ক মাথায় রেখেই মাশুল স্থির করবে। লুকনো কোনও কারণে কোনও সংস্থা বা গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হলে ট্রাই হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু কোনও সংস্থা যদি মাশুল না বাড়িয়ে গ্রাহককে বাড়তি সুবিধা দেয়, সেখানে ট্রাই-এর হস্তক্ষেপ কি বাঞ্ছনীয়?

মধুসূদন সাহা

কলকাতা-৫২

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন