Kolkata Bus Fare

সম্পাদক সমীপেষু: বর্ধিত বাসভাড়া

পেট্রল, ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির যুক্তিতে বাস মালিক ও সিন্ডিকেটরা যে যা খুশি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২ ০৪:৩২
Share:

‘নিয়ম ভেঙে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বাস, বলছেন যাত্রীরাই’ (১৯-৬) প্রসঙ্গে এই পত্র। ২০১৮ সালের পর সরকারি ভাবে কোনও বাসভাড়া বাড়ানো হয়নি। কিন্তু পেট্রল, ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির যুক্তিতে বাস মালিক ও সিন্ডিকেটরা যে যা খুশি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলস্বরূপ আমাদের রাজ্যে বাসযাত্রা নিত্যযাত্রীদের কাছে এক দুর্বিষহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দূরত্বে সরকারি বাস এখনও ১০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে, সেই দূরত্বেই বেসরকারি বাস চেয়ে বসছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। কেউ চার্ট দেখতে চাইলে বা বর্ধিত ভাড়া দিতে অস্বীকার করলে আত্মসম্মান খুইয়ে শুনতে হচ্ছে কন্ডাক্টরের কটূক্তি। প্রায় প্রতিটি রুটেই নিয়মিত এই অশান্তি দেখা যাচ্ছে। বাস মালিকদের যুক্তি, তাঁরা আর্থিক ক্ষতি করে বাস চালাবেন কী করে? অন্য দিকে নিত্যযাত্রীরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতির পর অনেকেরই চাকরি বা ব্যবসা হতাশাজনক অবস্থায় রয়েছে। কাজেই প্রত্যহ এই বর্ধিত ভাড়া দিতে গিয়ে তাঁদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয়। অথচ, সরকার ভাড়া না বাড়িয়ে, নীরব থেকে যাত্রীদের সুনজরে থাকার বিফল প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবে, অধিক ভাড়ার চাপ বাসযাত্রীদের প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হচ্ছে। তাই আমার মতে, অবিলম্বে তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমতা রেখে বাসভাড়ার পরিমার্জন ঘটিয়ে সরকারের উচিত অসহায় যাত্রীদের এই অবাঞ্ছিত আর্থিক চাপ থেকে মুক্তি দেওয়া এবং লক্ষ রাখা, সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে কোনও বাসই যেন বেশি ভাড়া না চায়।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ, শিবপুর, হাওড়া

বাইকের হর্ন

Advertisement

আগের তুলনায় বাইকের সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে। দিনে-রাতে কানফাটানো হর্নের জ্বালায় জীবন অতিষ্ঠ। বারণ করলেও কেউ শোনে না। বিশেষ করে পাড়ার মধ্যে যে সব সরু গলি রয়েছে, সেখান দিয়ে অনেক বাইক-আরোহীই প্রয়োজনের অতিরিক্ত হর্ন বাজিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে, গলির দু’পাশের বাড়ির মানুষরা তীব্র আওয়াজে খুবই অসুবিধায় পড়েন। সমস্যা হয় পথচলতি মানুষজনেরও। এর কি কোনও প্রতিকার নেই?

তপতী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৬০

বেলাগাম ভাড়া

কিছু দিন আগে দমদম থেকে অ্যাপ ক্যাব ধরে পাইকপাড়ায় গিয়েছিলাম। মোবাইল অ্যাপে ওই ট্রিপের ভাড়া দেখায় ২৮১ টাকা। রাস্তায় কোনও যানজট ছিল না। মাঝরাস্তায় বৃষ্টি নামে। যখন নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছই, তখন ক্যাব ড্রাইভারের মোবাইলে ভাড়া দেখায় ৪৫২ টাকা! ওই ভাড়াই দিতে হয়। এ নিয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে ক্যাবের পরিষেবায় অভিযোগ জানালে আমার অ্যাপে ১৭০.৬০ টাকা জমা হয়। পরের দিন দুপুরে ফের দমদমের একই জায়গা থেকে বরাহনগরে গোপাল লাল ঠাকুর রোডের একটি বাড়িতে যাই। তখন মোবাইলে ভাড়া দেখায় ২৬৫ টাকা। ক্যাব ড্রাইভার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ডানলপ হয়ে গোপাল লাল ঠাকুর রোড না ধরে একটু ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছয়। এ বার ড্রাইভারের মোবাইলে ভাড়া দেখায় ২৬৬ টাকা। আমি তাঁকে জানাই, আমার অ্যাপে ১৭০.৬০ টাকা জমা আছে। আমার মোবাইলে তখন কোনও ভাড়াই দেখতে পাওয়া যায়নি। ভাড়া মিটিয়ে নেমে যাওয়ার পর আমার অ্যাপে ভাড়া দেখতে পাই। ২৬৬ টাকা নয়, ভাড়া দেখায় ৪১৬ টাকা! এ ছাড়া ওই দিন প্রথম অ্যাপ ক্যাবটি না আসায় জরিমানা বাবদ কাটা যায় ২০.০৬ টাকা। আগে অভিযোগ জানালে কাজ হত কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এখন আর হচ্ছে না। মোবাইল অ্যাপে যাঁরা তেমন সড়গড় নন, তাঁদের হলুদ ট্যাক্সিই ভরসা। কিন্তু তাঁরা মিটারে পঞ্চাশ- একশো-দেড়শো টাকা বেশি নেন। মাঝখান থেকে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের পকেট কাটা পড়ছে এবং আগামী দিনেও পড়বে।

মলয় কুমার নন্দী, কলকাতা-২৮

অযথা হয়রানি

ভারতীয় পাসপোর্ট ও নির্দিষ্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে গিয়ে শুধুমাত্র পাসপোর্টে লিখিত কয়েকটি লাইনের অস্পষ্টতার কারণে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় কলকাতার সন্দীপ মল্লিককে (‘পাসপোর্ট সত্ত্বেও বিদেশে হেনস্থা, ক্ষতিপূরণ দাবি’, ৪-৭)। খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা চেকিং মেশিনে পাসপোর্টের তথ্য ঠিকমতো রিড করতে না পারায় সন্দীপ মল্লিকের পাসপোর্ট বৈধ নয় বলে দাবি করে তাঁকে জোহানেসবার্গে প্রবেশ করতে দেননি। ফলে, হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে শেষপর্যন্ত দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। ওই হয়রানির প্রতিকার ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য তাঁর দাবি যথার্থ বলেই আমার অভিমত। প্রসঙ্গক্রমে বলি, বিদেশ ভ্রমণকালে আমাকেও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সময়োত্তীর্ণ পুরনো পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করে নতুন পাসপোর্ট-সহ ভিসা নিয়ে কয়েক বছর আগে লন্ডনে গিয়েছিলাম। কলকাতা বিমানবন্দরের আধিকারিকরা পাসপোর্ট ও ভিসা দেখে ছেড়ে দিলেও লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নতুন পাসপোর্টে দুই নম্বর পৃষ্ঠার নীচের দিকে দু’টি লাইনের প্রিন্ট খুব অস্পষ্ট ছিল। ইমিগ্রেশন কাউন্টারে আমার পাসপোর্ট চেক করার জন্য মেশিনে টাচ করেও কোনও তথ্য আসছিল না। অভিবাসন আধিকারিক অনেক চেষ্টা করে শেষে বিরক্ত হয়ে সম্ভবত ভারতীয় পাসপোর্ট সাইট খুলে চেক করার পরই আমাকে ছাড়েন।

বিদেশ থেকে ফিরে ব্রেবোর্ন রোড পাসপোর্ট দফতরে গিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানালে, অফিসের আধিকারিকরা বলেন যে, এই সব ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট নিয়ে আগেই আসতে হত। পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের আর কিছু করার নেই। নিয়মমতো ১৫০০ টাকা ফি-সহ আবার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। দফতরে পাসপোর্ট বুকের প্রিন্ট যথার্থ ভাবে নিরীক্ষণ না করে পাসপোর্ট দেওয়ার কারণেই যে এই সমস্যা হয়েছে, সেই বিষয়টি কোনও ভাবেই মানলেন না তাঁরা। নতুন করে টাকা দিয়ে পাসপোর্ট করাতে হয়।

বিদেশের বিমানবন্দরগুলিতে ইদানীং সিকিয়োরিটি চেকিং-এ খুব কড়াকড়ি হচ্ছে বলেই শুনি। ফলে এই রকম অস্পষ্ট লেখা পাসপোর্ট থাকলে সমস্যা হবেই। আশা করব, আগামী দিনে ত্রুটিমুক্ত পাসপোর্ট দিতে উদ্যোগ করবেন তাঁরা।

সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ

ট্রেন দেরিতে

ভারতীয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে চেন্নাই এবং যশবন্তপুর থেকে হাওড়াগামী ডাউন ট্রেনের সময় পরিবর্তন করছে। তাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আছে। যেমন, চেন্নাই-হাওড়া মেল, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস, তিরুচিরাপল্লি এক্সপ্রেস ইত্যাদি। আগে উল্লিখিত ট্রেনগুলি ভোরবেলা হাওড়া পৌঁছে দিত যাত্রীদের। কিন্তু বর্তমানে এগুলি হাওড়া আসছে রাত ৮ টার পর থেকে। পথে দেরি বা লেট হচ্ছে। ফলে, এত রাতে হাওড়া পৌঁছে অনেক ক্ষেত্রেই কলকাতা বা হাওড়া বাদে বাকি জেলাগুলির বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরার অসুবিধা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণ ভারতের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলিতে যাত্রী হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসুস্থ রোগী এবং তাঁদের পরিবার থাকেন। কিছু কিছু ট্রেন সরকারি ভাবে রেলের সময় সারণি অনুসারে রাত ১১টার পর হাওড়া আসছে। এতে হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে বিভিন্ন রুটে ফেরার ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের কেন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন করা হচ্ছে? অবিলম্বে এই হয়রানি বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হোক।

অর্ণব দে, বেথুয়াডহরি, নদিয়া

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন