সম্পাদক সমীপেষু: সাইকেল সমস্যা

আগে যে সব সাইকেল সামান্য মেরামত করে লোকে ব্যবহার করত, তা আর করছে না। আবার অনেকে সবুজসাথী সাইকেল বিক্রি করে দিচ্ছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ০১:১২
Share:

বর্তমান রাজ্য সরকারের ‘সবুজসাথী’ প্রকল্প দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের কাছে এক প্রয়োজনীয় সাধু উদ্যোগ। কিন্তু প্রকল্পটি বর্তমানে যে ভাবে রূপায়িত হচ্ছে, সেখানে ধনী-দরিদ্র প্রয়োজন-নিষ্প্রয়োজন নির্বিশেষে সকল ছাত্রছাত্রীকে নতুন সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। এতে এক দিকে সরকারি কোষাগার থেকে যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, অন্য দিকে মফস্সল ও গ্রামাঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় সাইকেলের স্তূপ জমে যাচ্ছে। এক একটি বাড়িতে ৫-৬টি করে সাইকেল জমে যাচ্ছে। সেগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকছে।

Advertisement

আগে যে সব সাইকেল সামান্য মেরামত করে লোকে ব্যবহার করত, তা আর করছে না। আবার অনেকে সবুজসাথী সাইকেল বিক্রি করে দিচ্ছে। নতুন সাইকেল কেউ দোকান থেকে কিনছে না। মুষ্টিমেয় লোক হয়তো কিনছে। পুরনো সাইকেলও অনেকেই মেরামত না করে ফেলে রাখছে। ফলে গ্রামাঞ্চলে ও মফস্সলে যারা সাইকেল মেরামত ও সাইকেল ব্যবসা করে জীবন চালাত, তাদের অবস্থা হয়ে উঠেছে অত্যন্ত শোচনীয় ও সঙ্গিন।

সরকার ও নীতি নির্ধারকদের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, সাইকেল বিলি নির্বিচারে না করে শুধু তাদেরই দেওয়া হোক, যাদের সেটা সত্যিই প্রয়োজন, কিন্তু কেনার ক্ষমতা নেই। তাদের আর্থিক সাহায্য করা হোক, যাতে তারা প্রয়োজন মতো সাইকেল স্থানীয় দোকান থেকে কিনতে পারে। এতে যেমন ক্ষুদ্র ও স্থানীয় সাইকেল ব্যবসায়ী ও মেরামতকর্মীকে এই প্রকল্পে সামিল করা হবে, তেমনই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনাবশ্যক শিক্ষাবহির্ভূত কাজও অনেক কমে যাবে।

Advertisement

তারকনাথ নন্দী বর্ধমান

ডাকঘর

‘ডাকঘরে বন্ধ কাজকর্ম, ভোগান্তি’ (২২-৫) প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু কথা। এক জন গ্রাহকের কেওয়াইসি (‘নো ইয়োর কাস্টমার’) আপডেট করা থাকলে, তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দেশ মতো মাসিক কিস্তির টাকা কেটে রেকারিং ডিপোজ়িট-এ আপনিই ঢুকে পড়ে। তার জন্য আলাদা করে ডাকঘরে আসতে হয় না। যে কোনও আমানতের সুদ বা আসল টাকা নির্দেশ মতো গ্রাহকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়ে। তার জন্যও ডাকঘরে আসতে হয় না। কুরিয়ার সার্ভিস ডাকঘরে হয় না। এমআইএস-এর টাকা গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়ে। প্রসঙ্গত বলা বাঞ্ছনীয়, এক জন গ্রাহকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলে বাকি সমস্ত আমানতের সঙ্গে তা লিঙ্ক করা যায়। এবং সিবিএস (কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম) চালু হওয়ার পরই বেশির ভাগ পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের সুবিধার্থে এটিএম কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেই এটিএম কার্ড ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিনেও ব্যবহারযোগ্য। দুঃখের বিষয়, বেশির ভাগ গ্রাহকই এটিএম-এর সুবিধা নিতে ইচ্ছুক নন। কার্ড নিলেও বেশির ভাগ গ্রাহকই সেটা ব্যবহার করেন না। এই মুহূর্তে ‘কোর সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন’ প্রজেক্ট চালু করা হবে। তার জন্য ভিতরের সমস্ত বিভাগ আপডেট করা হচ্ছে। আমাদের এই বিশাল ডাক বিভাগকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং তার জন্য নিয়মিত আপডেট করতে হবে। সুতরাং প্রজেক্টটি চালু করতে গ্রাহকদের কাছে একটু সহযোগিতা আশা করে ডাক বিভাগ।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সহকারী ডাক অধীক্ষক, কল্যাণী সাব ডিভিশন, নদিয়া

বাস পরিষেবা

গাইঘাটা থানার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা বেড়ি পাঁচপোতা থেকে কলকাতা যাওয়ার সরাসরি কোনও বাস পরিষেবা নেই। যদিও বেড়ি গোপালপুর থেকে বেড়ি পাঁচপোতা হয়ে বারাসত যাওয়ার MN-6 নামে একটি প্রাইভেট বাস পরিষেবা চালু আছে, কিন্তু তা অনিয়মিত ভাবে কখনও গোবরডাঙা বা কখনও হাবরা পর্যন্ত চলাচল করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি, বেড়ি পাঁচপোতা থেকে কলকাতার ধর্মতলা বা সাঁতরাগাছির নতুন বাস টার্মিনাল (এক্সাইড-পিটিএস-বিদ্যাসাগর সেতু-নবান্ন-মন্দিরতলা হয়ে সাঁতরাগাছি) পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালু হোক। তা হলে বেড়ি পাঁচপোতা সংলগ্ন কয়েক হাজার মানুষ এতে উপকৃত হবেন।

জ্যোতি প্রকাশ ঘোষ বেড়ি পাঁচপোতা, উত্তর ২৪ পরগনা

ফাঁক নেই

কলকাতা শহরের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বড় বড় রাস্তার মাঝখান দিয়ে লম্বালম্বি ভাবে লোহার বেড়া দেওয়া ফুলের বাগান শহরকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে, সন্দেহ নেই। এমনি একটি রাস্তা, দক্ষিণ কলকাতার কসবা অঞ্চলে ‘আর বি কানেক্টর’ নামে পরিচিত। দৈর্ঘ্যে প্রায় চার কিলোমিটার। এবং উক্ত ফুলের বাগান তার স্বভাবজাত জৌলুস নিয়ে দিব্য বিরাজ করছে সেখানে। পথচারীদের রাস্তা পারাপার করার জন্য ফুলের বাগান অক্ষত রেখে জায়গায় জায়গায় শান বাঁধানো ছোট ছোট ফাঁক রাখা আছে। কিন্তু কসবা অঞ্চলেরই বেশ কিছু জায়গা, যেমন, ‘নীলাচল আবাসন’, ‘নবপল্লি’ ইত্যাদি অঞ্চলে, যে সামান্য অংশটুকু কাটা ছিল রাস্তা পারাপারের জন্য, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পথচারী ও বিশাল সংখ্যক আবাসনবাসী খুব অসুবিধায় পড়েছেন। একটা ট্র্যাফিক লাইট থেকে অন্য একটা ট্র্যাফিক লাইটে হেঁটে গিয়ে রাস্তা পারাপার করে অন্য কোনও যানবাহন ধরাও অতীব সময়সাপেক্ষ। বয়স্ক মানুষজনের পক্ষে তা কষ্টসাধ্য ও বিপজ্জনকও বটে। আবার উঁচু বেড়া টপকে রাস্তা পারাপার করার প্রবণতাও দেখা যায় অনেকের মধ্যে, তা অবশ্যই ঠিক নয়।

কল্যাণ কুমার চৌধুরী ই-মেল মারফত

লিচু

লিচু বিক্রেতারা লিচুর সঙ্গে লিচুর ছোট ছোট ডাল ও কয়েক গোছা পাতা ক্রেতাদের কিনতে বাধ্য করেন, যা খুবই বিস্ময়কর। টাকা দিয়ে ক্রেতারা লিচুর ডাল-পাতাই বা কিনবেন কোন যুক্তিতে— এই প্রশ্নে লিচু ব্যবসায়ীরা কোনও সদর্থক উত্তর দেন না ক্রেতাদের।

মহম্মদ মগদুম কালিন্দি, পূর্ব মেদিনীপুর

কিসে ধুচ্ছে?

হঠাৎই ভাগাড়কাণ্ড সামনে আসায় সরকারি তরফে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তরাঁয় নজরদারি চলছে। কিন্তু আর একটি বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই, হোটেল ও রেস্তরাঁতে, এমনকী অনুষ্ঠান-বাড়িতে, কর্মীরা বা কেটারারের লোকেরা যে পদ্ধতিতে থালা বাটি ধুচ্ছেন, তাও একটু দেখা প্রয়োজন। একই গামলার জলে সারা দিন ধরে সমস্ত বাসন ধোওয়া হচ্ছে।

ঝুমা মুখোপাধ্যায় দ্বারহাট্টা, হুগলি

পুকুর আছে

লাউহাটি থেকে কৈখালি পর্যন্ত রাস্তার (৯১ নং বাস রুট) কয়েকটি বিপজ্জনক মোড়ে গভীর পুকুর আছে। তাদের মধ্যে একটি কাজিয়াল পাড়া মোড়ের কাছে ও অপরটি কালী পার্ক বাবলাতলা মোড়ের কাছে। ওই দু’টি পুকুর খুবই গভীর। পুকুরগুলির রাস্তার দিকের পাড়গুলোতে কংক্রিটের ব্যারিকেড করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শুভাশীষ ঘোষ মোবারকপুর, রাজারহাট

রেল সেতু

মুর্শিদাবাদ জেলার ভাগীরথী নদীর উপর নির্মীয়মান রেল-সেতুর কাজ আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রেল, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এবং বিভিন্ন জমিদাতা— এঁদের বোঝাপড়ার অভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

ছোটন গোস্বামী জিয়াগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন