এই কাশ্মীর নিয়ে গর্ব!

বিনয়ভূষণ দাশ তাঁর ‘কাশ্মীরি কারা’ (১৩-৮) শীর্ষক পত্রে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা প্রণয়ন সম্পর্কে লিখেছেন: ‘‘...সংবিধানের প্রধান রূপকার বি আর অম্বেডকর ও অন্যদের আপত্তি সত্ত্বেও জওহরলাল নেহরু পীড়াপীড়ি করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদকে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করিয়েছিলেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৭
Share:

জম্মু-কাশ্মীর

বিনয়ভূষণ দাশের চিঠি (‘কাশ্মীর ও অমর্ত্য’, ১-৯)-র সুরে সুর মিলিয়ে বলি, অমর্ত্য সেনের বক্তব্য তিনি না মানতে পারেন, কিন্তু তাঁর গর্ববোধ করা নিয়ে উপদেশ দিতে পারেন না। কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মেনে নেওয়া গেল। অন্তত, আইন মেনে সংসদে বিল পাশ করানো হয়েছে। কিন্তু, যে পদ্ধতিতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, সেটা গণতান্ত্রিক? স্থানীয় নেতারা বন্দি; গত প্রায় এক মাস যাবৎ বাইরের সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ; অবাধে, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে যে কোনও লোককে গ্রেফতার করার ঢালাও স্বাধীনতা প্রশাসনের— উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে খুব একটা তফাত বোধ হয় নেই। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সময় কাউকে ‘উৎকণ্ঠা প্রকাশ’ করতে শোনা যায়নি— দাশবাবুর স্মৃতি বিশ্বাসঘাতকতা করছে না তো? তর্কের খাতিরে যদি তাঁকে ঠিক বলে ধরেও নিই; তা হলে, এটা কি ‘বদলা নেওয়া’? ৩৭০ ধারাকে অবৈধ আর প্রতিশ্রুত গণভোট? না, বিনয়বাবু, ভারতীয় হিসেবে আজকের কাশ্মীরের জন্য গর্বিত হতে পারছি না।

Advertisement

দেবাশিস মিত্র

কলকাতা-৭০

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement