London Diary

চার্লস শোভরাজকে নিয়ে সিরিজ়ে বিতর্ক

১৯৮৬-তে তিহাড় জেলের রক্ষীদের মাদক খাইয়ে পালায় শোভরাজ, ধরা পড়ে গোয়াতে।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ০০:২৩
Share:

আলোচিত: দ্য সার্পেন্ট সিরিজ়ে মোনিক ও চার্লস শোভরাজের ভূমিকায় জেনা ও রহিম

সত্তরের দশকে তাইল্যান্ডে পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুন করে সর্বস্ব লুট করত ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ। তাকে নিয়েই বিবিসি-র ড্রামা সিরিজ় দ্য সার্পেন্ট, সম্প্রচার শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। ওলন্দাজ কূটনীতিক হার্মান ক্নিপেনবার্গ শোভরাজের পিছু নেন, সিরিজ়ে সেই চরিত্রটিও রয়েছে। অভিনেতা রহিম ফুটিয়ে তুলেছেন শোভরাজকে। সানগ্লাস আর বুকখোলা টাইট শার্টে হোটেলে ঘুরছে সে, খুঁজছে শিকার। শোভরাজের ফরাসি প্রেমিকা মোনিক-এর ভূমিকায় জেনা কোলম্যান। টেলিড্রামা ‘ভিক্টোরিয়া’-য় তরুণী রানির চরিত্রে ছিলেন তিনি। দুষ্প্রাপ্য রত্ন, কুকুরছানা, হিপিদের মাদক দিয়ে মোনিককে কাছে টেনেছিল শোভরাজ। মোনিক দেখত কী ভাবে বন্ধুত্ব জমিয়ে ভ্রাম্যমাণ পর্যটকদের জন্য টোপ সাজাত সে। গরম জলে স্নান, দুর্লভ রত্ন, ড্রাগের লোভ দেখাত। তার পর পানীয়ে মাদক মিশিয়ে মেরে দিত, হাতিয়ে নিত পাসপোর্ট। এই হিংস্র শো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মৃতদের অনেকেরই আত্মীয়রাও যে এখনও বেঁচে!
১৯৮৬-তে তিহাড় জেলের রক্ষীদের মাদক খাইয়ে পালায় শোভরাজ, ধরা পড়ে গোয়াতে। ’৯৭-এ ভারতের জেল থেকে বেরিয়ে প্যারিসে ফিরে সাক্ষাৎকার দিত! ২০০৩ থেকে নেপালের জেলে আছে সে।

Advertisement


জনসনের ভাগ্য মন্দ

বরিস জনসনের শীতের ভারতে রোদ পোহানোর শখে জল ঢালল কোভিড-১৯। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর অতিথি হওয়ার কথা ছিল। ব্রিটেনে সংবাদমাধ্যমের কাছে জবাবদিহির চেয়ে ভারত সফরই ভাল ছিল তাঁর। জনসন ভারতীয়দের নির্ঘাত বলতেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় তিন জন ব্রিটিশ-ভারতীয়। জনপ্রিয় ঋষি সুনক তাঁর প্রতিবেশী। প্রীতি পটেলের জনপ্রিয়তায় ঘাটতি থাকলেও তিনি মোদীভক্ত। ভারতের সঙ্গে ব্যবসায় মুনাফা করতে পারতেন বাণিজ্য সচিব অলোক শর্মা। ১৯৯৩-এ জন মেজর শেষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি হয়েছিলেন।
ভ্রমণসঙ্গী ভাইরাস

Advertisement

ভাইরাস মানুষের সঙ্গেই দেশভ্রমণ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভারতীয় সৈনিকরা ইউরোপ থেকে দেশে আনেন স্প্যানিশ ফ্লু। কয়েক দশক পর, উলটপুরাণ। ১৯৫০-এ জাহাজ-খালাসি মুসা আলি বম্বে থেকে এলেন টিলবেরি-তে। স্কটল্যান্ডে তাঁর থেকে ১৯ জন গুটিবসন্তে সংক্রমিত হন, আলির ডাক্তার-সহ মারা যান ৬ জন। স্কটল্যান্ডে ‘বম্বে স্মল পক্স’-এর টিকাকরণের লাইনে রোজ ৬০০ জন দাঁড়াতেন। আলি প্রাণে বেঁচেছিলেন। হাসপাতাল ছাড়ার দিন তাঁকে অভিবাদন জানানো হয়েছিল। তাঁর অসুখে ছ’টি প্রাণ গেলেও আলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল না।


গবলিনরা আসবে না

তৃতীয় দফার লকডাউনে রাস্তাঘাট খাঁ-খাঁ, পানশালা বন্ধ। জাদুঘর, থিয়েটার দর্শকশূন্য। ঐতিহাসিক ভবন ও স্থানগুলির দেখভাল করে ‘ইংলিশ হেরিটেজ ট্রাস্ট’। জানুয়ারির এই জ্বালা মেটাতে তাদের পরামর্শ, বাড়িতে বড়দিনের সাজ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেখে দিন। সাধারণত ৬ জানুয়ারি ‘এপিফ্যানি’-র দিনেই ক্রিসমাস ট্রি-সহ উৎসবসজ্জা নামিয়ে নেওয়া হয়। মনে করা হয়, তার পরে ওই সাজ রাখলে আইভিলতার শাখায় পাতায় বাসা বাঁধে খোক্কসজাতীয় গবলিন। আনে সারা বছরের দুর্ভাগ্য। ‘ইংলিশ হেরিটেজ’ বলছে, ২ ফেব্রুয়ারি ক্যান্ডলমাস পর্যন্ত ক্রিসমাসের গাছ রাখলেই শুধু বিধিনিষেধটি প্রযোজ্য। আলোর তারা, খেলনাপাতি, টুকিটাকি খোলার যুক্তি নেই। বেশির ভাগ ঐতিহ্যবাহী ভবন বন্ধ হলেও আইল অব ওয়াইট-এর অসবোর্ন হাউসে ক্রিসমাস সাজ রেখে দিয়েছে ট্রাস্ট। এখানেই ভারতীয় অনুচর আবদুল করিমের সঙ্গে বড়দিন পালন করেছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। গবলিন আসবে না, বলছে ট্রাস্ট।

শোভা: অসবোর্ন হাউসে ক্রিসমাস সাজ


মধুর জাফরির গপ্পো

অভিনেত্রী-লেখক মধুর জাফরিকে নিয়ে বিবিসি-র রেডিয়ো ড্রামা হবে। দিল্লি থেকে লন্ডন এসে ভারতীয় রান্নার জন্য মন কেমন করলে মাকে চিঠি লিখে রেসিপি চাইতেন মধুর। ১৯৭৩-এ বেরোয় তাঁর রান্নার বই, ব্রিটেনের রান্নাঘরে পৌঁছে যায় ভারতীয় কারি। মধুরের ভূমিকায় আর্চি পঞ্জাবি। বাঙালি-ব্রিটিশ রাজ ঘটক ইসমাইল মার্চেন্টের ভূমিকায়। ইসমাইলই মধুরকে সইদ জাফরির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন