State news

শুধু ঘরে ঘরে নয়, এ রাজ্যেরও লক্ষ্মীকে প্রয়োজন, বুঝতে পারছি কি আমরা?

চন্দ্রালোকিত নগরীর ঘরে ঘরে আবাহন, জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাজ্যের বিস্তীর্ণ প্রান্তের প্রতিটি ঘরে আরাধনা— লক্ষ্মীকে আরও এক কোজাগরী পূর্ণিমায় স্বগৃহে স্থিত হওয়ার প্রার্থনা জানালাম আমরা।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

চন্দ্রালোকিত নগরীর ঘরে ঘরে আবাহন, জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাজ্যের বিস্তীর্ণ প্রান্তের প্রতিটি ঘরে আরাধনা— লক্ষ্মীকে আরও এক কোজাগরী পূর্ণিমায় স্বগৃহে স্থিত হওয়ার প্রার্থনা জানালাম আমরা।

Advertisement

লক্ষ্মীকে মহা সমাদরে আবাহন করার সমবেত প্রয়াসের প্রয়োজন যে হয়ে পড়েছে এই রাজ্যের, সে কথা কি আমরা বুঝতে পারছি ? ক্রমাগত ভাগ হতে থাকা ছোট জমির উপর নির্ভর করে কৃষকের সংসার সম্বৎসর চলছে না, শিল্পের নতুন করে প্রবেশের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ক্রমাগত ক্ষীণ হতে থাকছে, অর্থের অনর্গল প্রবাহের কোনও সম্ভাবনাই দেখা দিচ্ছে না, বাড়ির তরুণ-তরুণীরা পাড়ি দিচ্ছেন ভিন্‌ রাজ্যে, ভিন্‌ দেশে। লক্ষ্মীকে এখনই যেনতেনপ্রকারেণ এই রাজ্যে বাঁধা পড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। শিল্প ছাড়া অন্য কোনও পথে তাঁর আসার সম্ভাবনা দেখছি কি কোথাও? যদি না থাকে, শিল্পে একাগ্র দৃষ্টি দেওয়া দরকার, এ কথা কি বুঝছি আমরা ? এই বোঝা শুধু কোনও একটা সরকারের বা কোনও একটা দলের নয়। এই অনুধাবন হওয়া দরকার আমাদেরই। আমাদের ভাবনা-উপলব্ধি আকাঙ্খাই সরকারকে পথ খুঁজে নিতে সাহায্য করবে।

সমবেত আবাহনে জোর যদি না দিই, ঘরে ঘরে আরাধনাতেও উপাচারে কম পড়বে না তো ভবিষ্যতে ? ভেবে দেখব আমরা ?

Advertisement

একযোগে পাঁচালি পড়া যায় ?

চৈত্রেতে চাতক সম চাই তব পানে ।

আসিয়া বস ও মা দুঃখিনীর ভবনে ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement