ইংল্যান্ডর উচ্ছ্বাস। ছবি ফিফার সৌজন্যে।
অভিনন্দন ইংল্যান্ড! বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হল ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৭ দল। খুব বড় সাফল্য, সংশয় নেই। অতএব অভিনন্দন প্রাপ্য। রানার-আপ দল বা শেষ চারে পৌঁছনো দলগুলি বা যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া দলগুলি— নিজের নিজের ভূমিকার জন্য অভিনন্দন সকলকেই। কিন্তু খুব বড় অভিনন্দন ভারতকে। প্রথম বার এত বড় ফিফা টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। নিষ্কলঙ্ক ভাবে শুধু নয়, সসম্মানে সে পরীক্ষায় ভারত উত্তীর্ণ হল। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও জানাল, ভারতের অসামান্য ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব মুগ্ধ। কিছু দিন আগে পর্যন্তও ফিফার মানচিত্রে যে দেশটিকে প্রায় কেউ চিনতেনই না, সেই ভারত নজিরও গড়ে ফেলল। যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারত সর্বাধিক দর্শক সমাগম ঘটাল। ফুটবল ব্যবস্থাপনা এবং ফুটবল আবেগের এই অসামান্য যুগলবন্দিকে কুর্নিশ করতেই হচ্ছে। আবার বলছি, অভিনন্দন ভারত!
দিল্লিতে শুরু হয়েছিল টুর্নামেন্ট। পরিসমাপ্তি কলকাতায়। মুম্বই, গুয়াহাটি, কোচি, গোয়া— বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত হল ম্যাচ। কলকাতার মতো ফুটবল আবেগ অন্যত্র খুঁজে পাওয়া শক্ত ঠিকই। কিন্তু আয়োজনের নিষ্ঠায়, ব্যবস্থাপনার নৈপুণ্যে গোটা ভারতই অভিভূত করল। অতিথিরা অভিযোগ করতে পারেন, এমন অবকাশই তৈরি হতে দিল না।
ভারতের স্বর্ণমুকুটে রত্নের যোগান অবশ্যই দিয়েছে কলকাতা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের অভূতপূর্ব সজ্জা, যে কোনও ম্যাচে গ্যালারিতে গৌরবোজ্জ্বল সমাগম, আচমকা আসা সেমিফাইনাল ম্যাচ অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে সামলে দেওয়া, তৃতীয় স্থানের ম্যাচ এবং ফাইনাল ম্যাচেও গোটা দেশকে সঙ্গে নিয়ে সগৌরবে উত্তীর্ণ হওয়া— বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে কলকাতা।
ফিফা শীর্ষকর্তারা অকুণ্ঠ প্রশংসা করে গেলেন। সাফল্যে ভর করে ভারতও বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা শুরু করে দিল। দ্রুত পূরণ হোক সেই লক্ষ্যও। রইল শুভেচ্ছা। আরও এক বার রইল অভিনন্দন।