Editorial News

এই ভয়ঙ্কর কাণ্ডের শিকড়ে দ্রুত পৌঁছনো দরকার

খুন নিমতায় হোক বা মানিকতলায়, গুরুত্ব কিন্তু একই। খুন রাজনৈতিক কারনে হোক বা অজ্ঞাত কারনে, অপরাধীকে বা অপরাধীদের কাঠগড়ায় পৌছে দেওয়ার দায়টা কিন্তু পুলিশের কাঁধে সমপরিমান দুই ক্ষেত্রেই।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share:

গণপ্রহারে মৃত রতন কর্মকার।

ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য ক্রমশ। মানিকতলায় ক্লাবের মধ্যে পিটিয়ে মারা হল কাকে? প্রথমে বলা হয়েছিল, চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন। এখন জানা যাচ্ছে, খুন হওয়া ব্যক্তি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাহলে কারা ওই রকম নির্মমভাবে খুন করল তাঁকে? এই ভয়ঙ্কর ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ ক্রিয়াশীল, জানা আরও জরুরী হয়ে উঠেছে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের তরফে তৎপরতা ঠিক কতটুকু, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ যথেষ্টই।

Advertisement

মানিকতলার ঘটনাটা কিন্তু অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল একটা ক্লাবের মধ্যে। মৃতদেহ চেয়ারে বসিয়ে রেখে গা ঢাকা দিল খুনিরা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে শোনা গেল, চোর সন্দেহে গণপ্রহার হয়েছে। তদন্ত সামান্য এগোতেই জানা গেল, খুন হওয়া ব্যক্তি ব্যবসায়ী ছিলেন। রহস্য আরও কতটা গভীর, কোন সত্য আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে মারাত্মক কেউটে বেরিয়ে আসার আশঙ্কাও থাকছে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের তরফে তৎপরতা যে খুব জোরদার, তা একবারের জন্যও মনে হচ্ছে না।

খুন নিমতায় হোক বা মানিকতলায়, গুরুত্ব কিন্তু একই। খুন রাজনৈতিক কারনে হোক বা অজ্ঞাত কারনে, অপরাধীকে বা অপরাধীদের কাঠগড়ায় পৌছে দেওয়ার দায়টা কিন্তু পুলিশের কাঁধে সমপরিমান দুই ক্ষেত্রেই। কিন্তু নিমতা কাণ্ডে যে তৎপরতা দেখাচ্ছে পুলিশ, তার কতভাগ তৎপরতা মানিকতলার ক্লাবে ভয়ঙ্কর এবং রহস্যজনক খুনের কিনারা করার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সে নিয়ে সংশয় বিস্তর।

Advertisement

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

সত্যিই কি চোর সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত্যু হল? নাকি রহস্য ভিন্নতর? ভয়ঙ্কর কাণ্ডটার শিকড়ে পৌঁছনো জরুরী বলে মনে হচ্ছে। যদি ধরে নি, ব্যবসায়ী কে চিনতে না পেরে সত্যিই গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছিল, তাহলেও ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কাউকে চোর বা দুষ্কৃতি বলে মনে হলে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যায়। কিন্তু তার বদলে যা ঘটেছে, যেভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে খুন করে দেওয়া হয়েছে, সে প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়াই যায় ইচ্ছা হলে, এইরকম ভেবে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। অতএব দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হওয়া জরুরী। আর ঘটনাটা যদি চোর সন্দেহে গণপ্রহারের না হয়, যদি রহস্য আরও গভীর হয়ে থাকে, তাহলেও অবিলম্বে সত্যে পৌঁছনো জরুরী।

আরও পড়ুন: মানিকতলা হত্যা রহস্য: আগেও পেটানো হয়েছিল বুধবারের নিহতকে, ছাড়া হয়েছিল ৩০ হাজার টাকায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন