উৎসবের গাঙে ভরা জোয়ার। মাতোয়ারা বঙ্গবাসী। প্রাত্যহিক সব ব্যস্ততাগুলো এক পাশে ঠেলে সরিয়ে রেখে গোটা বাংলা আনন্দধারায় বানভাসি। আনন্দের এই ধারা দেশের অন্যান্য প্রান্তেও বইছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, বইছে প্রবাসেও।
বাঙালির এই অপার উৎসবের মুহূর্তেও কিন্তু ব্যস্ততাগুলোকে ঠেলে সরিয়ে রাখতে পারেননি আমাদেরই কয়েক জন। উৎসবের ছন্দ বহাল রাখতে, উৎসব-ভাসি নাগরিককে স্বস্তিতে রাখতে ব্যস্ততার পাহাড় মাথায় তুলে নিয়েছেন তাঁরা।
এক পুলিশ কর্মী রোদ-বৃষ্টি ভুলে নিরন্তর মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে। এক চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্মী উদয়-অস্ত না দেখে উৎসবের দিনগুলোয় আরও বেশি কাজের বোঝা সানন্দে মাথায় তুলে নিয়েছেন বাঙালিকে সুস্থ রাখতে। এক দমকল কর্মী পরিজনের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে বেরনো মুলতুবি রেখে সদাসতর্ক নিজের এলাকাকে নিরাপদে রাখতে। এক সেনা জওয়ান দিন-মাস-বছরের হিসেব ভুলে গোলাবারুদে মাখামাখি কোনও সীমান্তরেখায় অতন্দ্র দাঁড়িয়ে সমগ্র দেশকে সুরক্ষিত রাখতে।
এঁদের কল্যাণেই আজ উৎসব নির্বিঘ্নে আসতে পেরেছে আমাদের মাঝে। আলোকমঞ্জীরে অভিভূত এই ক্ষণে যেন ভুলে না যাই তাঁদের কথা। উৎসবে তাঁরা অংশ নিতে পারেননি আমাদেরই স্বার্থে। তাই উৎসবের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে থাক তাঁদের ত্যাগ।