'যোগ্য' চাকরিহারাদের মিছিল। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, মঙ্গলবার ‘যোগ্য’ চাকরিহারা এবং নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া মিছিল। চাকরির দাবিতে বিধানগরের করুণাময়ীতে এ দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রথম থেকেই তৎপর ছিস পুলিশ।
করুণাময়ী ও সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনগুলিতে তাঁদের পুলিশি উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে ফের স্কুল সার্ভিস কমিশন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। মিছিল শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে। কিন্তু সোমবারের মতো মঙ্গলবারও করুণাময়ী এলাকায় জমায়েত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, কোনও অনুমতি না নিয়ে মিছিল শুরু করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই তাঁদের আটক করা হয়েছে।
নতুন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পূর্ণমান পেয়েও তাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। এর প্রতিবাদেই সোমবার থেকে তাঁরা এসএসসি দফতরের অভিযানের চেষ্টা করছেন।
অন্য দিকে, যোগ্য চাকরিহারারাও করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি জমা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতে চান তাঁরা। মিছিল শুরু হয় দুপুর ১টা থেকে। তাঁদের মূল দাবি শূন্যপদ বৃদ্ধির। পাশাপাশি, যাঁরা একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়েও সুযোগ পাননি তাঁদের চাকরি সুনিশ্চিত করা এবং অবিলম্বে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা নিয়েও সরব হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার নিয়োগের শূন্যপদ বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার কথা জানান। বলেন, “মূলত ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিসভা সব দিক খতিয়ে দেখবে। ‘যোগ্য’রা সত্যি কেউ বাদ গেল কি না আমরা দেখব। তাঁদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল।” কিন্তু এই আশ্বাসে আস্থা বিশ্বাস রাখতে নারাজ চিন্ময় মণ্ডল, মেহবুব মণ্ডলের মতো ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। তা বাস্তবায়িত হয় কি না তাঁর দিকেই তাকিয়ে ‘যোগ্য’রা। পাশাপাশি, যে ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছেন, তা নিয়েও ক্ষুব্ধ তাঁরা। যদিও কমিশন জানিয়েছে, কোনও ‘অযোগ্য’ ব্যক্তি ইন্টারভিউতে ডাক পেয়ে থাকলে নথি যাচাইয়ের মাধ্যমে তাঁদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।