— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গত দু’দশকে ক্রমশ বেড়েছে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার চাহিদা। এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর গড়ে ২ লক্ষ পড়ুয়া এই বিষয় পড়ছেন।
যে কোনও বিষয়ের স্নাতকেরা এমবিএ অর্থাৎ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। তবে, ভর্তি হওয়ার জন্য কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট) কিংবা কমন ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (সিম্যাট) দিতে হয়। সরকারি এবং বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য এই প্রবেশিকা উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক।
তবে, বিভিন্ন আইআইটি প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও এক্জ়িকিউটিভ এমবিএ কোর্সও করিয়ে থাকে। এই কোর্সটি সাধারণত অভিজ্ঞ চাকরিজীবীরা করতে পারেন। ম্যানেজমেন্ট বা বিজ়নেস অ্যাডিমিনিস্ট্রেশন বিভাগে অন্তত পাঁচ বছর কাজ করেছেন, এমন ব্যক্তিরা ওই কোর্সটিতে ভর্তি হতে পারেন। ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্য গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (জিম্যাট) বা গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এগজ়ামিনেশন (জিআরই) দিতে হয় উত্তীর্ণদের।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এ বার জেনে নেওয়া যাক কোন কোর্সটি কাদের জন্য?
ম্যানজেমেন্ট-এর দুনিয়ায় কেরিয়ার শুরুর জন্য এমবিএ কোর্স-ই বেছে নেওয়া দরকার। কারণ এই কোর্সে ফিনান্স, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্স, অপারেশনস অ্যান্ড বিজ়নেস স্ট্র্যাটেজি-র সমস্ত বিষয় শিখে নেওয়ার সুযোগ থাকে। কাজ শুরু করার আগে এই বিষয়গুলি জানা যথেষ্ট প্রয়োজন।
অন্যদিকে এক্জ়িকিউটিভ এমবিএ চাকরিজীবীদের পদোন্নতিতে গতি আনে। তাই যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরা বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, এমন স্ট্যাটেজি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল শেখেন ওই কোর্সের মাধ্যমে। সাধারণত লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট, ইনোভেশনের মতো বিষয়ে বেশি নজর দেওয়া হয়।
এমবিএ-এর ক্লাস অফলাইনেই হয়ে থাকে। অনলাইন বা পার্টটাইম কোর্সের সুযোগ নেই বললেই চলে। অন্য দিকে এক্জ়িকিউটিভ এমবিএ কোর্সটি পুরোপুরিই হাইব্রিড মোডে বা সপ্তাহান্তে ক্লাসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সাধারণ স্নাতকোত্তর কোর্সগুলির তুলনায় এর খরচও বেশি। যেখানে এমবিএ পড়তে ১০-২২ লক্ষ টাকা ফি জমা দিতে হয়, সেখানে এই কোর্সের জন্য খরচ হয় ২০-৪০ লক্ষ টাকা।
দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা দু’টি কোর্সই করিয়ে থাকে। তাই স্নাতকের পর এমবিএ বা চাকরির পর এক্জ়িকিউটিভ এমবিএ করতে চাইলে সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। এই তালিকায় রয়েছে আইআইএম অহমদাবাদ, আইএসবি হায়দরাবাদ, আইআইএম ব্যাঙ্গালোর, আইআইএম কোঝিকোড়-এর মতো প্রতিষ্ঠানও।