আইআইটি কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং সমস্ত আইআইটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তারা। ছবি: প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
বিজ্ঞানচর্চা প্রসঙ্গে বহু বছর আগেই মাতৃভাষায় শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছিল আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। এ বার সে কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার আইআইটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
পিটিআই সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের পর এ বারই প্রথম আয়োজিত হল আইআইটি কাউন্সিলের বৈঠক। মূলত, কাউন্সিল ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিআরএফ)-এর নিয়মানুসারে ক্রেডিট ভাগ করে নেওয়ার পদ্ধতি, জয়েন্ট এন্ট্রাস অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোচিং নির্ভরতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল।
কিন্তু সোমবারের বৈঠকে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হল পিএইচডি ডিগ্রি স্তরে পঠনপাঠন এবং গবেষণার মানোন্নয়নের উপর। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এবং স্কুল স্তরে পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম মেধার সংযোজনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর সে প্রসঙ্গেই পাঠদানের কৌশলেও পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মত প্রকাশ করেছে বৈঠকে উপস্থিত বিশেষজ্ঞেরা।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ইংরেজির পাশাপাশি অন্য ভারতীয় ভাষা নিয়েও চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। ছবি: প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট দাবি করেন, ইংরেজির পাশাপাশি অন্য ভারতীয় ভাষা নিয়েও চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় পাঠদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষাকেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানো, সুস্থ জীবনশৈলীর গড়ে তোলা প্রসঙ্গেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব রয়েছে। সে সম্পর্কেও বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছর আইআইটি খড়্গপুর এবং আইআইটি কানপুরে একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিক্ষকমহল। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বছরে অন্তত এক বার যাতে পড়ুয়াদের সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা যাতে করা হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়।
এ দিনের বৈঠকে ২৩টি আইআইটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, নীতি আয়োগ, ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইসরো-র মতো প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও এই বৈঠকে যোগদান করেছিলেন। এই বৈঠকের পৌরহিত্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।