Ministry of Education

শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির পাঠ দিতে অ্যাপ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নয়া উদ্যোগ

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী, পাঠ্যক্রম এবং পাঠদান সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দক্ষ করে তুলতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
Share:

শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই অ্যাপটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। ছবি: সংগৃহীত।

শিক্ষক-শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের আগামীর পথচলার দিক নির্দেশ করে থাকেন। তাই শিক্ষাদানের পদ্ধতিকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে ‘টিচারঅ্যাপ’ নামের একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই অ্যাপটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।

Advertisement

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ বিএড পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, শিক্ষকদের উন্নতি, ভারতের উন্নতি শীর্ষক ভাবনা থেকেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মদক্ষতা, নতুন বিষয়ে কোর্স করানোর পাশাপাশি, প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল করা হবে।

অ্যাপ প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকারাই আসল কর্মযোগী, যাঁরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে পথ দেখাবেন। তাঁদের কাজকে আরও গুরুত্ব দিতেই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির উপরে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হবে।”

Advertisement

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বাস্তব পরিস্থিতির অভিজ্ঞতার নিরিখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই ‘টিচারঅ্যাপ’-কে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই অ্যাপ ওয়েবসাইট, আইওএস, অ্যানড্রয়েড থেকে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

কী কী থাকবে এই অ্যাপে?

* মোট ২৬০ ঘণ্টার কন্টেন্ট

* থিয়োরি নির্ভর তথ্যের পাশাপাশি, ভিডিয়ো, পডকাস্ট দেখার সুযোগ

* ওয়েবিনার, বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা, ক্যুইজে যোগদান করার সুযোগ

* সরাসরি ক্লাসরুমে পাঠদানের কৌশল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা।

অ্যাপ উদ্বোধনের মুহূর্তে শিক্ষামন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতী এয়ারটেল ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ ভারতী মিত্তল, ভারতী এন্টারপ্রাইজের সিইও মমতা সইকিয়া। রাকেশ জানান, এই অ্যাপ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে বিশ্বমানের তথ্যভাণ্ডার পৌঁছে দেবে, যার সাহায্যে পরবর্তীতে পড়ুয়াদের জন্য উন্নত মানের শিক্ষাদানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা সম্ভব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement