— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গোলাপ ফুলে সাজবে বিবাহবাসর। পুরোনো বাংলা গানে আবহে বাসরে ঢুকবেন বর। ‘প্রজাপতি’ বা ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’-এর মতো সিনেমায় ওয়েডিং প্ল্যানিং কাজটা কেমন, সেই সম্পর্কে কম বেশি তথ্য জানার সুযোগও হয়েছে। কিন্তু আদতে এই পেশায় আসতে কী কী বিষয়ে দক্ষ হতে হয়, কোথা থেকে শুরু করা যেতে পারে— তা বিশদে রইল।
দ্বাদশের পর কী ভাবে শুরু?
‘ওয়েডিং প্ল্যানিং’ শীর্ষক বিষয়টি স্নাতকস্তরে কোথাও পড়ানো হয় না। তবে, হোটেল ম্যানেজেমন্ট বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের অধীনে বিয়ের কাজ সম্পর্কে শেখার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলিতে কলা এবং বিজ্ঞান শাখার অধীনে ওই বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ডিগ্রি ছাড়া কী কাজ শুরু সম্ভব?
ওয়েডিং প্ল্যানিং এবং ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়ে ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে লাইভ ক্লাস বা হাইব্রিড মোডে হাতেকলমে কাজ শিখে নেওয়া যাবে।
এ ছাড়াও স্থানীয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অধীনে ফ্রেশার হিসাবে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগও থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও সংস্থার অধীনে থেকে কাজ শেখার পাশাপাশি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। এতে পরবর্তীতে নিজের কাজের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।
কোথায়, কী পড়ানো হয়?
পোর্টফোলিও:
কাজ কতটা শিখতে পারলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে নিজের কাজের উন্নতি সম্ভব— এই সমস্ত কিছুর মূল্যায়ন করতে হবে নিয়মিত। এর সঙ্গে নিজস্ব পোর্টফোলিও বানাতে হবে, যাতে ‘ওয়েডিং প্ল্যানার’ হিসাবে আপনার দক্ষতা কতটা, তা এক নজরে ক্লায়েন্টরা বুঝতে পারেন।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সমাজমাধ্যম:
ভাল কাজ করলে লোকমুখে প্রচার হয়। সমাজমাধ্যম তা আরও দ্রুত করার সুযোগ করে দেয়। বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন, সাজগোজ, খাবার, সৃজনশীল ভাবনার প্রকাশের টুকরো টুকরো ছবি বা ভিডিয়ো ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রান্ত পৌঁছে দিতে পারলে কাজ পাওয়া খানিকটা সহজ হয়ে ওঠে।
কী কী বিষয়ে চাই দক্ষতা?