NTA Exams 2025

কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ! জেইই, নিট-এ কাগজ-কলম ফেরানোর পক্ষে সওয়াল

কাগজে-কলমে নাকি কম্পিউটারে— সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা ভাল, এবং কেন, তা নিয়ে ব্যাখা দিয়েছে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জয়েন্ট এন্ট্রানস্ কিংবা নেট-এর মত পরীক্ষা কম্পিউটার বেসড টেস্ট (সিবিটি) পদ্ধতি নেওয়া হয়ে থাকে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এই পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েক বছরে। কিন্তু এ বার কাগজে-কলমে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি।

Advertisement

সিবিটি পদ্ধতিতে পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রথম শুরু হয়েছিল ২০০৯-এ। কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট) নেওয়া হত ওই পদ্ধতিতে। ম্যানেজমেন্ট শাখায় ভর্তি হওয়ার জন্য কাগজে কলমে পরীক্ষার বদলে কম্পিউটারকে বেছে নিয়েছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ ম্যানেজমেন্ট।

এরপর জয়েন্ট এন্ট্রানস্, ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট), টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এর মতো পরীক্ষার জন্যও ওই ব্যবস্থা অনুকূল কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে। অবশেষে ২০১৭ থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) ওই পদ্ধতিতেই সমস্ত পরীক্ষার আয়োজন করা শুরু করে।

Advertisement

২০১৯-২০ অতিমারি পরিস্থিতিতে সারা দেশেই সিবিটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর পর থেকে সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশিকা— সব ক্ষেত্রেই সিবিটি পদ্ধতিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ওই পদ্ধতিতেই রেল, ব্যাঙ্ক, এনটিএ, স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি), ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষা নিয়ে থাকে।

সে সময় বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছিলেন, কাগজে-কলমের পরীক্ষা হলে, কারচুপির সুযোগ অনেক বেশি। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস কিংবা উত্তরপত্রে কারসাজি করা সম্ভব। কিন্তু অনলাইনে আলাদা আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হলে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

কিন্ত অভিযোগ উঠছে তার পরও। সিবিটি পদ্ধতিতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস, কিংবা উত্তরপত্রে কারচুপি, মেশিন হ্যাকিং, নেটওয়ার্ক সমস্যার মতো একাধিক কারণে পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্ত বিতর্কের কেন্দ্রে এনটিএ। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪-এ আয়োজিত ১৪টি সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষার মধ্যে পাঁচটির ক্ষেত্রেই বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে ইউজিসি নেট, সিএসআইআর নেট, নিট পিজি বাতিল করতে হয়েছে। নিট ইউজি-র প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং কুয়েট ইউজি এবং পিজি-র ফল ঘোষণাতেও দেরি করেছে এনটিএ। এ ছাড়াও জেইই মেন-এর মতো পরীক্ষায় ১২টি প্রশ্নই বাতিল করেছিল ওই সংস্থা, কারণ ‘ফাইনাল আনসার কি’তে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছিল।

এ ছাড়াও উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগে বিদ্ধ এসএসসি, রেল-এর মতো সংস্থাও। লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় কারচুপি, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে শিক্ষা, নারী, শিশু, তরুণ এবং ক্রীড়া বিষয় সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে।

তাই এ সব পরীক্ষা ফের কাগজে-কলমে নেওয়া যায় কি না, সে ক্ষেত্রে নিয়মে কোনও রদবদল করতে হবে কি না, তা নিয়ে পরিকল্পনা করার কথা জানানো হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে থাকা সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহ এ-ও জানিয়েছেন, কাগজ-কলমে পরীক্ষা নেওয়া হলে সিবিএসই কিংবা ইউপিএসসি যে ভাবে পরীক্ষা নিয়ে থাকে, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে এনটিএ-ও। তাতে পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রতি পরীক্ষার্থীদের আস্থা বজায় রাখা সম্ভব এবং সময়ের মধ্যে ভর্তি বা নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement