প্রতীকী চিত্র।
গরমের দাপট থেকে পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে বন্ধ থাকবে স্কুলগুলি। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কী করণীয় কিংবা তাঁরা কতক্ষণ স্কুলে থাকবেন, সেই বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই রাজ্যের নির্দেশিকায়। তা নিয়ে দিনভর ধন্দে ছিলেন শিক্ষকরা। দিনের শেষে স্কুল শিক্ষা দফতর সেই বিভ্রান্তি দূর করল।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পঠনপাঠন ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্কুলগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া, হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরির মতো একাধিক প্রশাসনিক কাজ করতে হয়। তাই এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পাশাপাশি, শিক্ষা দফতরের তরফে সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের স্কুলগুলির পঠনপাঠন বন্ধ রাখার আর্জিও জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানিয়েছেন, পড়াশোনা বন্ধ রাখতে বললেও প্রশাসনিক কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ আসেনি। তাই শিক্ষকদের ছুটি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে রাজ্যের স্পষ্ট নির্দেশিকা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
উত্তরের জেলাগুলিতে আগাম বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে অধরা বৃষ্টি। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পশ্চিমের জেলাগুলিতে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি। তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল পড়ুয়াদের স্বার্থে ১৩ এবং ১৪ জুন, দু’দিন স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর অভিযোগ, শিক্ষা দপ্তরের নোটিসে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তাই স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা যাবেন কি না, তা নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, ছাত্রছাত্রীরা না এলে শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে এসে কী করবেন?
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের দাবি, “মৌখিক ঘোষণা ও বিজ্ঞপ্তির মধ্যে মিল নেই। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে ছুটির ঘোষণা করা দরকার ছিল।”