Kasba Law College

পদ ছাড়তে চান উপাধ্যক্ষা! কসবা আইন কলেজে তড়িঘড়ি বৈঠক, সিদ্ধান্ত নেবে পরিচালন সমিতি

কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কসবার আইন কলেজে। দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২১
Share:

উপাধ্যক্ষ পদ ছাড়তে চান নয়না চট্টোপাধ্যায়! গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দিতে চান নয়না চট্টোপাধ্যায়। গত কয়েক মাসে তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে এ বার পদ ছাড়তে চাইছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কসবা আইন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, বিধায়ক অশোক দেবের বাড়ি গিয়ে ইস্তফা জমা দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই তড়িঘড়ি সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে বৃহস্পতিবার।

Advertisement

গত জুনে প্রকাশ্যে আসে কসবা ল কলেজের ভিতরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা হিসাবে পরিচিত। ওই কলেজের প্রাক্তনী সেই যুবকের বিরুদ্ধে ছিল বহিরাগত হিসাবে দাদাগিরির অভিযোগও। কিন্তু এ সব কর্মকাণ্ডে পরোক্ষ মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই উঠেছে উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এমনকি ধর্ষণের দিনও রেজিস্টার খাতায় উপাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়া তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্যের দল কসবা কলেজে এসে খতিয়ে দেখে নথিপত্র। রিপোর্ট যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। শান্তা দত্ত দে সে দিন জানিয়েছিলেন, সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।

এরই মধ্যে উঠে আসে ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ। নয়না অবশ্য বরাবরই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। এ দিন তিনি বলেন, “পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে গিয়ে আমার ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছি। বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ভাল ভাবে কলেজ পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক বাধা পেয়েছি। মানসিক চাপ এখানে প্রচুর। আমি চাই ভাল ভাবে কলেজ পরিচালনা হোক।” পরিচালন সমিতির সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের সঙ্গে বহু বার চেষ্টা করে যোগাযোগ করতে পারেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement