প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারে বদল আসতে চলেছে উত্তরপত্রে। পরীক্ষার্থীরা আর চাইলেই নিতে পারবে না অতিরিক্ত কাগজ। এত দিন পর্যন্ত প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে আট পাতার উত্তরপত্র দেওয়া হত। সেখানে মোট ১৬টি পৃষ্ঠায় তারা উত্তর লিখতে পারত। অতিরিক্ত পাতার প্রয়োজন হলে, তা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেই জোগানো হত। ২০২৬ উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টার থেকে বদলে যাচ্ছে নিয়ম।
সূত্রের খবর, এ বার থেকে ১২ পাতার উত্তরপত্র প্রথমেই দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীকে। চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। চতুর্থ সেমিস্টারের বর্ণনামূলক উত্তর দিতে হবে। যে সমস্ত বিষয়ে প্রাকটিক্যাল আছে, সেখানে লিখিত পরীক্ষা হবে ৩৫ নম্বরের। অন্য বিষয়গুলির ক্ষেত্রে পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরের। সে ক্ষেত্রে মোট ২৪টি পৃষ্ঠায় উত্তর লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, এর থেকে বেশি পৃষ্ঠার প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এ বার চতুর্থ সেমিস্টারে অতিরিক্ত পাতা দেওয়া হবে না। আমরা যে খাতার ব্যবস্থা করেছি তার মধ্যেই তাদের পরীক্ষা শেষ করতে হবে।”
কেন এই পরিবর্তন?
শিক্ষা সংসদের ব্যাখ্যা, অতিরিক্ত পাতা পর পর সেলাই হয় না অনেক সময়ই। আশঙ্কা থাকে পাতা ছিঁড়ে পড়ে যাওয়ারও। তার ফলে অনেক সময়ই সঠিক মূল্যায়ন করা যায় না। এই সমস্যা সমাধানেই উত্তরপত্রে পরিবর্তন করা হয়েছে।
২০২৬ উচ্চ মাধ্যমিকে সেমিস্টার পদ্ধতির পাশাপাশি পুরনো পদ্ধতিতেও পরীক্ষা হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে পুরনো বছরের ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় বসবে। তাদের পুরনো পদ্ধতিতেই খাতা দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে শিক্ষা সংসদ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক চতুর্থ সেমিস্টার, শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি।