রূপায়ণ পাল। নিজস্ব চিত্র।
সারা দিন বইয়ের দুনিয়াতেই সময় কাটত। আর তাতেই বাজিমাত। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান দখল করে নিল বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের রূপায়ণ পাল। পরীক্ষায় মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪।
পূর্ব বর্ধমান জেলার এই কৃতী বরাবরই মেধাবী। স্কুলেও ভাল রেজাল্ট করত। তাই এই ফল অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে রাজ্য থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে একেবারে শীর্ষস্থান দখল করে নেবেন তা একেবারেই ভাবনাতীত ছিল রূপায়ণের। স্বাভাবিক ভাবে খুশিতে উদ্বেল তাঁর পরিবারও।
বাবা-মা, দু’জনেই ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। সাহায্য করেছেন ছেলের পড়াশোনাতেও। পাশাপাশি ছিল গৃহশিক্ষকও। মায়ের কথায়, “উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছে এমনটা নয়। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিত।”
রূপায়ণের অধিকাংশ সময় বইয়ে মুখ গুঁজে কাটত ঠিকই, কিন্তু সুযোগ বুঝেই ঢুঁ মারতেন গোয়েন্দা গল্পের দুনিয়ায়। অবসরে চোখ রাখতেন খেলার চ্যানেলেও। ভিন্ন ভিন্ন জগতের দুনিয়ায় মগ্ন থেকেও এই কৃতীর স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। তাই নিট ইউজি-ই এখন পাখির চোখ। ছেলের স্বপ্ন সত্যি হোক, চান মা-ও।
এ বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩ মার্চ, শেষ হয় ১৮ মার্চ। অর্থাৎ পরীক্ষা শেষের ৫০ দিনের মাথায় ঘোষণা করা হল ফলাফল। এ বছরই বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল। এর পর চালু সেমেস্টার ব্যবস্থা। চলতি বছর ৬২টি বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে দিতে পেরেছেন পরীক্ষার্থীরা। গত বছর সংখ্যাটি ছিল ৬০। এ বছর যে নতুন দুটি বিষয়ে পরীক্ষাগ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলি হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্স। চলতি বছরে 'রেগুলার ভিত্তিতে' নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৪,৮২,৯৪৮ জন। পরীক্ষা দিয়েছেন ৪,৭৩,৯১৯ জন। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।