ইতিহাস নিয়ে পড়ার পর কী চাকরি করা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ইতিহাস অনেকের মনেই ভয় ধরায়। সাল-তারিখের বিরাট ঝক্কি সামলে বড় ব়ড় প্রশ্নের উত্তর লেখার আতঙ্ক এক সময় গ্রাস করত পড়ুয়াদের মন। এখন অবশ্য পড়ুয়ারা ছোট থেকেই অনেক বেশি কর্মমুখী প়ড়াশোনায় আগ্রহী। তাই দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরই এ বিষয়ে একটা পরিকল্পনা করে রাখা যেতে পারে। দ্বাদশে ইতিহাস নিয়ে পড়ার সময়ই প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া প্রয়োজন উচ্চশিক্ষার জন্য। সে ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে চাকরির কী কী সুযোগ পাওয়া যেতে পারে, রইল বিস্তারিত।
ইতিহাস পড়ার পর চাকরির কী কী সুযোগ রয়েছে?
দ্বাদশের পর ইতিহাস নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করতে পারেন। স্নাতকোত্তরে ইতিহাস নিয়ে পড়ার সময় আর্কিয়োলজি, মিউজ়িয়োলজি, আর্কাইভাল স্টাডি পড়তে হয় পড়ুয়াদের। এর পর এই বিষয়গুলির উপর পিএইচডি করার সুযোগও থাকে। সেই অনুযায়ী কাজের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
আর্কিয়োলজিস্ট বা প্রত্নতত্ত্ববিদ:
এক জন প্রত্নতত্ত্ববিদকে গবেষণা নির্ভর কাজ করতে হয়। নির্দিষ্ট এলাকায় খনন কাজ চালিয়ে প্রত্ন নিদর্শন পুনরুদ্ধার, তার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েই মূলত কাজ করেন তাঁরা। তবে আর্কিয়োলজি বা পুরাতত্ত্ব ছাড়াও ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় যেমন, নৃতত্ত্ব বা ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করলেও এই পেশা গ্রহণ করা যেতে পারে।
মিউজিয়োলজিস্ট:
একজন মিউজিয়োলজিস্টকে মিউজিয়াম-এর পরিকল্পনা, সংগঠন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকতে হয়। তাঁদের মিউজিয়াম সংক্রান্ত গবেষণা,প্রশাসনিক ও জনসংযোগের কাজগুলিও করতে হয়। মিউজিয়ামের ঐতিহাসিক ও শিল্পবস্তুগুলিকে পরীক্ষানিরীক্ষা ও সংরক্ষণের দিকে নজর রাখার দায়িত্বও মিউজিয়োলজিস্টদের। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতোই শুধু মাত্র ইতিহাস ছাড়াও বিজ্ঞান, হিউম্যানিটিজ় বা ফাইন আর্টস, এমনকি আর্কিয়োলজি বা পুরাতত্ত্ব নিয়ে পড়লেও মিউজিয়োলজিস্ট হওয়া যায়।
আর্কাইভিস্ট:
ইতিহাস পড়ে শিক্ষার্থীরা আর্কাইভিস্ট হিসাবেও বিভিন্ন সংরক্ষণাগারে ঐতিহাসিক দলিল, পাণ্ডুলিপি, কাগজপত্র ও নথি সংরক্ষণের কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন মিউজ়িয়াম, গ্রন্থাগার ও সংরক্ষণাগারে এই পদে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এই পেশার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে কোনও ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোর্স করার প্রয়োজনীয়তা পড়ে না। ইতিহাস যাঁদের পড়াশুনোর বিষয়, তাঁরা স্বভাবসিদ্ধভাবেই এই পেশার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন।
এ ছাড়াও শিক্ষকতার, অধ্যাপনার সুযোগ তো রয়েছেই। একাগ্রতা এবং সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের পেশায় নিযুক্ত হওয়া যায়।