দফতরের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ তৃণমূল কাউন্সিলরের

কাউন্সিলর হিসাবে শপথ গ্রহণের পর এক মাসও কাটেনি। এরই মধ্যে রাস্তার উপরে চেয়ার পেতে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাস। স্বপ্নাদেবীর অভিযোগ, কাউন্সিলরদের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যেখানে অন্য কাউন্সিলরদের প্রত্যেকেরই কাজ করার জন্য অফিস রয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁকে কোনও ঘর দেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ১৮:২১
Share:

রাস্তার উপরে চেয়ারে বসে কাউন্সিলর স্বপ্না দাস। ছবি: সুমন বল্লভ।

কাউন্সিলর হিসাবে শপথ গ্রহণের পর এক মাসও কাটেনি। এরই মধ্যে রাস্তার উপরে চেয়ার পেতে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাস। স্বপ্নাদেবীর অভিযোগ, কাউন্সিলরদের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যেখানে অন্য কাউন্সিলরদের প্রত্যেকেরই কাজ করার জন্য অফিস রয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁকে কোনও ঘর দেওয়া হয়নি।

Advertisement

স্বপ্নাদেবী জানান, কোনও অফিস না থাকায় কাউন্সিলর হওয়ার পর তাঁর কাজ করতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। তিনি যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেটি ৫ নম্বর বরো-র অধীন। ওয়ার্ড অফিসটিও এই বরোতেই রয়েছে। সে জন্য তিনি বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং চেয়ারম্যানকে বরো-র একটি ফাঁকা ঘর দিতে বলেন। প্রথম দিকে চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও তাঁকে কোনও ঘর দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবারও তিনি একই দাবিতে চেয়ারম্যানের কছে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ তুলে সূর্য সেন স্ট্রিটে বরো অফিসের সামনে রাস্তার উপরে তিনি চেয়ার পেতে বসে পড়েন। সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ ভাবেই তিনি বিক্ষোভ দেখান। পরে মেয়র তাঁকে ডেকে পাঠান এবং আপাতত ওই বরো অফিসেই তাঁকে অস্থায়ী একটি ঘর দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

Advertisement

তবে শুধু স্বপ্নাদেবীই নন, ৭০, ৮৬ এবং ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর এবং ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলরেরাও বেশ কয়েক দিন ধরেই একই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুর আইনে কাউন্সিলরদের অফিস দেওয়ার কথা উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও আমি বিষয়টি দেখছি।’’ এর আগে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন পার্থ বসু। তিনি নিজের বাড়িতেই কাউন্সিলর হিসাবে কাজকর্ম চালাতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন