ভাড়া নিয়ে বচসা, যাত্রীকে ক্ষুর মেরে উধাও ট্যাক্সিচালক

ফের শহরের বুকে ট্যাক্সিচালকের হাতে যাত্রীনিগ্রহের অভিযোগ উঠল। এ বার অবশ্য বিষয়টি ‘নিগ্রহ’তেই আটকে নেই। বেশি ভাড়া দিতে রাজি না হওয়ায় এ বার ট্যাক্সিচালকের ক্ষুরের আঘাতে জখম হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে মহাত্মা গাঁধী রোড মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৪৭
Share:

ফের শহরের বুকে ট্যাক্সিচালকের হাতে যাত্রীনিগ্রহের অভিযোগ উঠল। এ বার অবশ্য বিষয়টি ‘নিগ্রহ’তেই আটকে নেই। বেশি ভাড়া দিতে রাজি না হওয়ায় এ বার ট্যাক্সিচালকের ক্ষুরের আঘাতে জখম হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে মহাত্মা গাঁধী রোড মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পরেই ট্যাক্সি নিয়ে চালক উধাও হয়ে যায়। পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ২৯ বছরের জখম যুবকের নাম বিশাল আনন্দ। বাড়ি ধানবাদের হিল কলোনির রেল আবাসনে। মঙ্গলবার কলকাতায় তাঁর এক পরিচিতের বাড়িতে ঘুরতে আসেন তিনি। ঘটনার কথা জানিয়ে এই দিন সকালেই বিশালের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বিশালরা তিন বন্ধু মিলে শহর ঘুরতে বের হন। তাঁরা প্রথমে বালিগঞ্জ এলাকার একটি হোটেলে খেতে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীরা বিশালদের ঢুকতে দেননি। এর পরে তাঁরা পার্ক স্ট্রিট থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে যান। তদন্তকারীদের অনুমান, সেখান থেকে ফেরার পথেই ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বিবাদ শুরু হয় বিশাল এবং তাঁর বন্ধুদের। বিশালের বন্ধুদের জেরা করে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন, ট্যাক্সিতে ওঠার সময়ে চালক নির্ধারিত ভাড়ার থেকে অন্তত দু’শো টাকা বেশি চান। কিন্তু বিশাল তা দিতে রাজি না হলেও ট্যাক্সিতে ওঠেন।

Advertisement

এর পরে ট্যাক্সির মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বচসা। মহাত্মা গাঁধী রোড মেট্রো স্টেশনের সামনে আচমকাই ট্যাক্সি থামিয়ে দেন চালক। এর পরে ট্যাক্সি থেকে নামাকে কেন্দ্র করে বচসার সময়ে চালক আচমকাই বিশালের পেটে ক্ষুর চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিশালের বন্ধুরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও ট্যাক্সির নম্বর বা চালকের কোনও পরিচয় জানাতে পারেননি। ফলে অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালকের কোনও পরিচয় এ দিন দুপুর পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। অজ্ঞান অবস্থায় থাকার জন্য এই দিন দুপুর পর্যন্ত বিশালের কোনও জবানবন্দি নিতে পারেননি তদন্তকারীরা।


ট্যাক্সিচালকের নিগ্রহনামা

কবে

কী ঘটেছিল

১৭ জুন
১৩ জুলাই
২৬ অগস্ট
২৮ অগস্ট

শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডে বৃদ্ধা প্রহৃত
প্রহৃত ব্যবসায়ী এবং তাঁর বন্ধু
কলকাতা পুরসভার এক কর্তার স্ত্রী প্রহৃত
ভবানীপুরের কাছে প্রহৃত এক যাত্রী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন