বরখা দত্ত
নির্ভয়া কাণ্ডে এত দিন সমালোচনার তির উড়ে এসেছে শুধু পুরুষদের দিকেই। ধর্ষক থেকে রাজনীতিবিদ— এই দলে বাদ যাননি কেউই। কিন্তু এ বার নির্ভয়া-বিতর্কে জড়াল এক নারীর নাম। তিনি সাংবাদিক বরখা দত্ত। একটি অনুষ্ঠানে নির্ভয়ার সমর্থকদের কার্যত চুপ করিয়ে দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন তিনি।
বরখার বক্তব্য, লেসলি উডউইনের তথ্যচিত্রে ভারতকে যে রকম ভাবে নারীদের জন্য বিপজ্জনক দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তা ঠিক নয়। ওই দিনের অনুষ্ঠানে বরখার সঙ্গে হাজির ছিলেন সাংবাদিক নোরা ওডোনেল এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা লেসলিও। নোরা যখন ভারতকে প্রায় ধর্ষণের দেশ হিসেবে তুলে ধরেন, তখনই তাঁকে পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেন বরখা।
বরখা জানান, বিশ্বের দরবারে নির্ভয়া তথ্যচিত্রটি দেখিয়ে যে ভাবে ভারতকে ছোট করা হচ্ছে, তা কাম্য নয়। পাশাপাশি, দুই বিদেশিনীর দিকে পাল্টা প্রশ্নও ছুড়ে দেন তিনি। জানতে চান, কে বলেছে ভারতে নারীরা প্রতি দিন অসম্মানের শিকার হন? যুক্তি দেখিয়ে বরখা বলেন, চার দশক আগেই ভারত এক নারীকে তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে। আর আমেরিকার মতো প্রগতিশীল দেশ তো এখনও এক জন নারীকে রাজনৈতিক ক্ষমতার শিখরে বেছে নিতে পারল না! এ ছাড়া অমর্ত্য সেনের লেখা থেকে যুক্তি তুলে বরখা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলিতে ধর্ষণ এবং নারীদের অসম্মানের সংখ্যাটা ভারতের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
বরখার যুক্তি যা-ই হোক না কেন, বিতর্ক তাতে একটুও কমছে না। নির্ভয়া যে সুবিচার পায়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ ছিলই মানুষের মনে। ক্ষোভ ছিল নির্ভয়া-তথ্যচিত্র ভারতে দেখাতে না দেওয়া নিয়েও। এ বার নারী হয়েও বরখা কেন এমন মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে উত্তাল হল সোশ্যাল মিডিয়া।