সীমান্ত সমস্যা মেটাতে জোর বেজিং-দিল্লির

সম্পর্কের সীমারেখা মুছে কাছাকাছি আসতে সীমান্তকেই হাতিয়ার করলেন নরেন্দ্র মোদী। সফরের দ্বিতীয় দিনে সীমান্ত নিয়ে বেড়ে চলা টানাপড়েন রাজনৈতিক পথে স্বাভাবিক করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সীমান্ত সম্পর্কের বরফ গলাতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনের বিশেষ নীতি বিলোপ করতেও অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ১৮:৫৭
Share:

বেজিংয়ে চিনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মোদী-খ্যছিয়াং। ছবি: পিটিআই।

সম্পর্কের সীমারেখা মুছে কাছাকাছি আসতে সীমান্তকেই হাতিয়ার করলেন নরেন্দ্র মোদী। সফরের দ্বিতীয় দিনে সীমান্ত নিয়ে বেড়ে চলা টানাপড়েন রাজনৈতিক পথে স্বাভাবিক করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সীমান্ত সম্পর্কের বরফ গলাতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনের বিশেষ নীতি বিলোপ করতেও অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার রাতে জিয়ান থেকে বেজিং পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুক্রবার চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াঙের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনা বিনিয়োগ নিয়েও কথা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। ভারত যে বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না, আলোচনায় তা বুঝিয়ে দেন মোদী। প্রায় দেড় ঘণ্টা মোদী-খ্যছিয়ং বৈঠক হয়। বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা হয়। দুই দেশের বিজ্ঞানীরা যাতে আরও বেশি করে নিজেদের মধ্যে মেধার আদান-প্রদান করতে পারেন, সে বিষয়েও সম্মত হয়েছে দু’দেশ। ভারত এবং চিনের সম্পর্কের ঐতিহাসিক দিক স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোদী বলেন, “নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা দুই দেশই যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় লাভ হবে দু’পক্ষেরই। প্রথমে আমাদের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে।” সমস্যা সমাধানে সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে বৈঠকের সংখ্যা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে সীমান্ত সমস্যা যে দুই দেশের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, তা-ও স্পষ্ট করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

স্মাইল প্লিজ। মোদী-খ্যছিয়াং সেলফি। ছবি প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

Advertisement

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠনে রাজি হয়েছে দুই দেশ। এ জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলির কাছে চিনের বাজারের দরজা আরও বেশি করে খুলতে অনুরোধ করেন মোদী। সমস্যা সমাধানে খ্যছিয়াং এবং চিনপিঙের প্রশংসা করে মোদী বলেন, “বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চিন প্রশংসনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

তবে দিনের সেরা মুহূর্তটি তোলা ছিল বেজিংয়ের টেম্পল অফ হেভনে। সেখানে চিনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুললেন নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ ট্যুইট করেন, ‘সম্ভবত এটাই বিশ্বের সেরা সেলফি।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন