নতুন মোড় নিল ফিফা কেলেঙ্কারি।
ফিফা বিতর্কে অভিযুক্ত চাক ব্লেজার স্বীকার করলেন ১৯৯৮ ও ২০১০ বিশ্বকাপের আগে ফ্রান্স ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে তিনি ‘ঘুষ’ নিয়েছিলেন।
২০১৩-তে তদন্ত চলাকালীন এফবিআই-কে সরাসরি ভাবে ব্লেজার বলেছিলেন, ‘‘ফ্রান্সে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে অনেকের সঙ্গে মিলে ঘুষ নিয়েছিলাম। এমনকী ২০১০ বিশ্বকাপের আগেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভোট দিতে ঘুষ নিয়েছিলাম আমি।’’ দু’বছর আগের এই বিস্ফোরক তথ্য ব্লাটার ইস্তফা দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সামনে এনেছে এফবিআই। যার জেরে প্রমাণ হচ্ছে ২০১৮ ও ২০২২-এর বহু আগের থেকেই বিশ্বকাপ দিতে ঘুষ নিত ফিফা কর্তারা। কয়েক দিন আগে ফিফা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার ব্লেজার অসুস্থ হয়ে আপাতত নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে ভর্তি।
১৯৯৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ফিফা এগজিকিউচিভ কমিটির সদস্য ছিলেন ব্লেজার। এফবিআইর কাছে তাঁর এই স্বীকারোক্তি আবার নতুন করে জল্পনা বাড়িয়ে দিল, তিনিই হয়তো ফিফার বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করিয়েছেন। বাকি যাঁদের সঙ্গে মিলে ব্লেজার ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁরা কারা সেই ব্যাপারেও জল্পনা তুঙ্গে।
ইংল্যান্ড এফএ চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইক আবার জানিয়ে দিয়েছেন, যদি ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে ‘বিড’ দেওয়া হয় তা হলে ইংল্যান্ড তার মধ্যে থাকবে না। পাশাপাশি চলতি বিতর্কে ফিফাকে কটাক্ষ করে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম বলেছেন, ‘‘এই ঘটনাগুলো মেনে নেওয়া যায় না। ফুটবল সারা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। যারা এই খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ফিফায় বসে তাদের আরও স্বচ্ছ হতে হবে।’’