দেশের ২৬তম সেনাপ্রধান হিসাবে শপথ নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল দলবীর সিংহ সুহাগ। বৃহস্পতিবার ৫৯ বছরের সুহাগ জেনারেল বিক্রম সিংহের স্থলাভিষিক্ত হয়ে দায়িত্ব নিলেন ১৩ লক্ষ ভারতীয় সেনার। আগামী আড়াই বছর এই পদে থাকবেন তিনি।
লোকসভা ভোটের মাত্র তিন দিন আগে উপ-সেনাপ্রধান হিসাবে সুহাগের নাম ঘোষণা করে তত্কালীন ইউপিএ সরকার। তখনই তাঁর নিয়োগ নিয়ে মুখ খোলেন প্রাক্তন সেনাকর্তা জেনারেল ভি কে সিংহ তথা বিজেপি। সুহাগকে কংগ্রেসের ‘ভালবাসার লোক’ বলে কটাক্ষও করেন তিনি। এনডিএ ক্ষমতায় আসার পরও এই নিয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংহ। তবে এ ক্ষেত্রে নিজেদের সরকারের মন্ত্রীর পাশে না দাঁড়িয়ে সুহাগের নিয়োগেই সিলমোহর দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিষয়টিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখার কথাও বলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “কিছু বিষয় রাজনৈতিক বিতর্কের উর্ধ্বে থাকে। সেনাপ্রধানের পদটি তেমনই। ইউপিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল দলবীর সিংহ সুহাগকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই নিয়োগকে বর্তমান সরকারও সমর্থন জানাচ্ছে। বিতর্ক এখানেই শেষ হওয়া দরকার।”
সেনাপ্রধান হিসাবে দলবীর সিংহ সুহাগের নিয়োগে উত্সবের মেজাজে তাঁর গ্রাম ভিষণে। সুহাগ দেশের সেনাবাহিনীকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে আশা করছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে অন্তত এক জন সদস্য সেনাবাহিনীতে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। চিতোরগড় সৈনিক স্কুলের প্রাক্তনী সুহাগ ১৯৭০ সালে যোগ দেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কায় ভারতের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৭ থেকে বেশ কয়েক মাস কার্গিলে মাউন্টেনিয়ারিং ডিভিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সুহাগ।