শিলিগুড়ি জংশনের প্ল্যাটফর্মে হকার উচ্ছেদ। ছবি: সন্দীপ পাল।
মালদহ এবং আসানসোলের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মাঝে এ বার হকার উচ্ছেদ হল শিলিগুড়ি জংশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা।
রেল সূত্রে খবর, ‘রেলযাত্রী উপভোক্তা পক্ষ’-এ যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে একটি সমীক্ষা চলছিল শিলিগুড়ি স্টেশনে। নথিবদ্ধ করা হচ্ছিল যাত্রীদের অভিযোগ। এর মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে রেলের এক প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছয় শিলিগুড়ি জংশনে। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন রেলের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থসারথি শীল। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি শিলিগুড়ি জংশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মে বসা সব হকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একই ব্যবস্থা নেওয়া হয় প্ল্যাটফর্মের স্টলগুলির বিরুদ্ধেও। একটি স্টলকে আংশিক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাকিগুলোকেও বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়। ঘটনায় পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হকাররা। রেল জানিয়েছে, হকারদের পুনর্বাসনের বিষয়টি রাজ্যের হাতে রয়েছে, রাজ্যই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
বস্তুত, হকার উচ্ছেদ নিয়ে রাজ্যে বিক্ষোভ চলছেই। গত সোমবার মালদহ স্টেশনে লাইসেন্সহীন হকারদের তাণ্ডবে ইটের আঘাতে আরপিএফের এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলেছে আসানসোলে বিজেপি-র পার্টি অফিসে। তবে শিলিগুড়ি জংশনের প্ল্যাটফর্মে হকার উচ্ছেদ নিয়ে এ দিন কোনও ঝামেলা হয়নি।