জেলবন্দি মুর্সি। ছবি: এপি।
মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সিকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ২০১১-য় জেল ভাঙার অপরাধে এই সাজা। এর আগে ক্ষমতায় থাকার সময়ে বিক্ষোভকারীদের হত্যা ও অত্যাচারের অপরাধে তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।
আরব বসন্তের সময়ে প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে সরে দাঁড়ান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক। এর পরে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মহম্মদ মুর্সি। কিন্তু মুর্সি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করছেন এই অভিযোগে এক বছরের মধ্যেই আবার জনবিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমন করার সময়ে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে মিশরের সেনা মুর্সিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পরে মুর্সি-র বিচার শুরু হয়। পরে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান আল-সিসি।
আল-সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, বড় সংখ্যক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। বিচারে মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েক শো সমর্থকের মৃত্যুদণ্ডও হয়েছে।
এ দিনের রায়ের বিরোধিতা করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তাদের অভিযোগ। এই রায়ের পর বিষয়টি মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু গ্র্যান্ড মুফতির কাছে পাঠানো হবে। তাঁর মতামতের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ রয়েছে।