মালদহে বিজেপির দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

পুরভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই ঘটনাগুলির নয়া সংযোজন মালদহ। বৃহস্পতিবার মালদহে বিজেপির দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাত ২টো নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় কার্যালয়টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ১৫:৫৬
Share:

ভস্মীভূত বিজেপির দলীয় কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।

পুরভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই ঘটনাগুলির নয়া সংযোজন মালদহ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মালদহে বিজেপির দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাত ২টো নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় কার্যালয়টি। পুড়ে যায় কার্যালয়ের সামনে থাকা একটি অটো। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়েরাই। তবে স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতির বাড়ির এক তলায় কার্যালয়টি থাকায় ঠিক সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনলে প্রাণহানিও ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা। ঘটনার পর শুক্রবার মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। তাঁদের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তেরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী।

বিজেপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বাপ্পা ভট্টাচার্য এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, “তৃণমূলের লোকেরাই আমাদের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” পাল্টা অভিযোগে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি চন্দন দে বলেন, “প্রচারের আলোয় আসার জন্য বিজেপির লোকেরা নিজেরাই দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছেন।”

Advertisement

কী ঘটেছিল ওই রাতে?

বিজেপির অভিযোগ, ওই দিন রাত ১২টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে বসে নির্বাচনের কাজ করছিলেন। তার পর প্রত্যেকেই বাড়ি চলে যান। ওয়ার্ড সভাপতি বাপ্পার বাড়ির এক তলার একটি ঘর কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কাজ শেষে তিনি দোতলায় চলে যান। রাত ২টো নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে তড়িঘড়ি নীচে নেমে দেখেন এক তলার ঘরটি দাউদাউ করে জ্বলছে। কার্যালয়ের বাইরে একটি অটো রাখা ছিল। চাকা ফেটে যাওয়াতেই এই বিস্ফোরণ। ততক্ষণে স্থানীয়রাও ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। স্থানীয়দের সাহায্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্ধ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। খুব তাড়াতাড়ি দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন