নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন

সাত সকালেই ভয়াবহ আগুন লাগল নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিল্ডিংটিতে আগুন লাগার খবর আসে দমকলের কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন। দমকল সূত্রের খবর, স্ট্র্যান্ড রোডের উপরে অবস্থিত এই বহুতলটির আট তলায় আগুন লেগেছে। পরে তা নয় এবং ১০তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ১১:৩৬
Share:

অগ্নিগ্রাসে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং।

সকালেই ভয়াবহ আগুন লাগল নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিল্ডিংটিতে আগুন লাগার খবর আসে দমকলের কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন।

Advertisement

দমকল সূত্রের খবর, স্ট্র্যান্ড রোডের উপরে অবস্থিত এই বহুতলটির আট তলায় আগুন লেগেছে। পরে তা নয় এবং ১০তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে কালো ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যাওয়ায় ঠিক কোথায় আগুন লেগেছে তা প্রথমে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। সে কারণে উৎসের কাছে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে তাঁদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আতঙ্কগ্রস্ত অনেক কর্মীকেই তারা উদ্ধার করেছে। তবে বহুতলটিতে কোনও কর্মী আটকে পড়েছেন কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। ব্যস্ত অফিস টাইমে বহুতলটিতে আগুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। লাগোয়া স্ট্র্যান্ড রোডে যান চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের এক কর্মী জানান, বহুতলটির সাত তলায় এ-ব্লকে বিদ্যুৎ পরিবহণের অফিস রয়েছে। সেখানেই প্রথম আগুন লাগে বলে ওই কর্মীর দাবি।

Advertisement

বহুতলের আট তলা থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া।

বহুতলটির আশেপাশের বাড়ি থেকে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা চালায় দমকল কর্মীরা। আনা হয় স্কাই ল্যাডার। আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আট তলাতে সুব্রতবাবুরও অফিস রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি দিনের মতোই সাড়ে ১০টা নাগাদ চতুর্থ শ্রেনির কর্মীরা আমার ঘরের এসি চালিয়ে দিয়েছিলেন। তখনও তাঁরা আগুন লাগার কথা জানাননি।’’ বেশ কিছু অফিস আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। হতাহতের কোনও খবর নেই। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ড অবশ্য ইদানিং এই শহরের অন্যতম পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে পার্ক স্ট্রিটের স্টিফেন কোর্টে আগুনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে গোলপার্কের বেসরকারি হাসপাতালে আগুন লাগে। মৃত্যু হয় অন্তত ৯০জনের। এর পর ২০১২ সালে হাতিবাগান বাজার এবং ২০১৪ সালে সেপ্টেম্বরে পার্ক স্ট্রিটের চ্যাটার্জী ইন্টারন্যাশনালে ভয়াবহ আগুনের সাক্ষী হয়েছেন শহরবাসী।

ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন