২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের কেঁপে উঠল দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ও পূর্ব ভারত। রবিবার দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) সূত্রে খবর, এ দিন কম্পনের উত্সস্থল ছিল নেপালের কোডারি থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে। এ দিন কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায়— বেহালা, গড়িয়া, লেক টাউন, সল্টলেক, খিদিরপুর, পার্ক স্ট্রিটে কম্পন অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শহরের মেট্রো পরিষেবা। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়। শনিবারের ভূমিকম্পে শিলিগুড়িতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। এ দিন ফের কম্পন অনুভূত হওয়ায় গোটা রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শনিবার ভূকম্পনের জেরে পশ্চিমবঙ্গে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৬৯ জন। এ দিন ভূকম্পন হলেও রাজ্যের কোনও জায়গায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এ দিন শিলিগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ভূমিকম্পে নিহতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এ রাজ্যের পাশাপাশি অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ধরনের আফটার-শক চলতে থাকবে।