হাতির ‘এলফি’তে মজেছে ওয়েব দুনিয়া

‘সেলফি’। প্রতিদিনের দাঁত ব্রাশের মতোই আমাদের চেনা রুটিনে ঢুকে পড়েছে এই শব্দটি। ঘুম ভাঙা চোখে আলসেমি হোক বা পার্টির সাজের সেলফি—সোশ্যাল দুনিয়ার দেওয়াল জুড়ে টাঙিয়ে না রাখলে দিনটাই কেমন বেমানান ঠেকে। এ বার এই হুজুগে তাল মেলাতে পা বাড়াল একটি হাতি! দক্ষিণ-পূর্ব তাইল্যান্ডের কো ফাঙ্গান দ্বীপে এই ছবি তোলা হয়েছে। মাতঙ্গের সেই সেলফি থুড়ি ‘এলফি’ ঝড় আছড়ে পড়েছে ওয়েব মহলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ১৫:৪৪
Share:

হাতির সেই 'এলফি'। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

‘সেলফি’। প্রতিদিনের দাঁত ব্রাশের মতোই আমাদের চেনা রুটিনে ঢুকে পড়েছে এই শব্দটি। ঘুম ভাঙা চোখে আলসেমি হোক বা পার্টির সাজের সেলফি—সোশ্যাল দুনিয়ার দেওয়াল জুড়ে টাঙিয়ে না রাখলে দিনটাই কেমন বেমানান ঠেকে। এ বার এই হুজুগে তাল মেলাতে পা বাড়াল একটি হাতি! দক্ষিণ-পূর্ব তাইল্যান্ডের কো ফাঙ্গান দ্বীপে এই ছবি তোলা হয়েছে। মাতঙ্গের সেই সেলফি থুড়ি ‘এলফি’ ঝড় আছড়ে পড়েছে ওয়েব মহলে। কমেন্ট আর লাইকের সুনামির খবর পেলে হাতিটিও বোধহয় লাজে রাঙা হয়ে উঠত!

Advertisement

এই ‘এলফি’ কাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান লেব্যান্স। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এই প্রাক্তনী পড়াশুনোর জন্য এখন তাইল্যান্ডে রয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি ক্যামেরা টাইমল্যাপস্ অবস্থায় রেখে ছবি তুলছিলাম। পাশাপাশি হাতিটিকে কলাও খাওয়াচ্ছিলাম। হঠাত্ই আমার ক্যামেরা শুঁড় দিয়ে জড়িয়ে সামনে নিয়ে যায় হাতিটি।” প্রসঙ্গত, টাইমল্যাপস্ অবস্থায় থাকলে এই ক্যামেরা অনবরত ছবি তুলে যেতে থাকে। নিজের ইনস্টাগ্রামে প্রথম এই ছবি শেয়ার করেছেন ক্রিশ্চিয়ান। তারপরই তার দখল নিয়ে নেয় গোটা সাইবার জগত্।

২০১৪ সালে একটি কালো ম্যাকাকিউয়ের তোলা সেলফি প্রকাশ্যে আসায় চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে বাক‌্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন উইকিপিডিয়া কর্তৃপক্ষ। যেহেতু সেলফি তাই চিত্রগ্রাহককে ওই ছবির কপিরাইট দিতে অস্বীকার করেন উইকি কর্তারা। তাঁদের যুক্তি ছিল ছবিটি ম্যাকাকিউয়টির নিজেরই তোলা। কিন্তু এই ‘এলফি’ নিয়ে আপাতত কোনও বিতর্ক শুরু হয়নি। তবে এটি বিশ্বের প্রথম এলফি কি না তা নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে উইকিপিডিয়াও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement