আইএএস ডি কে রবির রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই

চাপের মুখে শেষমেশ সেই সিবিআই। আইএএস ডি কে রবির রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-র হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল কর্নাটক সরকার। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এ কথা জানিয়েছেন। তিনি যদিও চাপের প্রসঙ্গটি সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে জানিয়েছেন, সরকার সত্যিটা সামনে আসার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চায়। বলেছেন, “রবির বাবা-মায়ের অনুভূতি আমি বুঝি। আমরা জনগণের আবেগের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ১৩:২০
Share:

ডি কে রবি। —ফাইল চিত্র।

চাপের মুখে শেষমেশ সেই সিবিআই।

Advertisement

আইএএস ডি কে রবির রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-র হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল কর্নাটক সরকার। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এ কথা জানিয়েছেন। তিনি যদিও চাপের প্রসঙ্গটি সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে জানিয়েছেন, সরকার সত্যিটা সামনে আসার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চায়। বলেছেন, “রবির বাবা-মায়ের অনুভূতি আমি বুঝি। আমরা জনগণের আবেগের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।” এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সরকার কোনও ভাবেই ঘটনাটিকে ধামা চাপা দিতে চায় না। আড়াল করতেও চায় না কোনও ব্যক্তিকে।

গত ১৬ মার্চ বেঙ্গালুরুর মাদিভালায় সরকারি বাসভবন থেকে রবির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রহস্যজনক এই মৃত্যুতে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে রবির পরিবার। সুবিচার না পেলে গণ-অত্মহত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। একই দাবিতে সুর চড়ায় বিরোধী বিজেপি ও জনতা দল। প্রশাসন অবশ্য প্রথম থেকেই বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছে। এবং এর পিছনে কোনও ব্যক্তিগত কারণ আছে বলেই দাবি করে তদন্তকারী দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘরে-বাইরে প্রবল বিরোধী চাপের মুখে পড়ে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। কর্নাটক চাইলে কেন্দ্র সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল পাঠাতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এমনকী, গত শুক্রবার সিদ্দারামাইয়ার কাছে একই প্রস্তাব রাখেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া।

Advertisement

এই ঘটনায় বিধানসভার সামনে বিরোধী নেতৃত্বের ধর্নার পাশাপাশি থমকে যায় সংসদের অধিবেশনও। গত সোমবার সন্ধেয় বেঙ্গালুরুর মাদিভালায় সরকারি বাসভবন থেকে ডি কে রবির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, তাদের অনুমান আত্মহত্যা করেছেন রবি। তবে রবির পরিবারের দাবি করা হয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের এই আমলা। তার জেরে তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই হুমকি ফোন পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement