স্ত্রী, শ্বাশুড়ি এবং এক প্রতিবেশীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল এক প্রাক্তন সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে। উন্মত্ত ওই ব্যক্তিকে আটকাতে গেলে বঁটি নিয়ে তিনি তেড়ে যান পড়শিদের দিকেও। এই ঘটনার পরে নিজেদের ফ্ল্যাটেই আগুন ধরিয়ে চার তলা থেকে ঝাঁপ দেন আব্দুল মতিন (৪২) নামে ওই ব্যক্তি। জখম আব্দুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন পল্লি এলাকায়।
আব্দুলের হামলায় গুরুতর জখম তাঁর স্ত্রী সাহিন আখতার চৌধুরী (২৫), শাশুড়ি রমি চৌধুরী (৪৯) এবং প্রতিবেশী সুনীল কুমার দাস (৭০)। তিন জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পড়শিরা জানিয়েছেন, সাহিনের বাবা ইউনুস আমন চৌধুরী ছ’মাস আগে ওই ফ্ল্যাটটি কিনে স্ত্রী, মেয়ে এবং জামাইকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। আব্দুল মতিনের দ্বিতীয় স্ত্রী সাহিন। কয়েক দিন আগে থেকেই ওই পরিবারে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। পড়শিদের বক্তব্য, ফের বিয়ে করার চেষ্টা করছিলেন আব্দুল। তাই নিয়ে এমবিএ পড়ুয়া সাহিনের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা চলছিল। দিন পাঁচেক আগেও ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রবল চিৎকার শুনে পড়শিরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে আব্দুল এবং সাহিনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে। কিন্তু এ দিন আবার তাঁদের মধ্যে প্রবল বিবাদ শুরু হয়।
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারে ঝামেলা চলছিল। তার জেরেই এ দিনের গণ্ডগোল। ঝামেলার জেরেস্ত্রী এবং শাশুড়ির উপরে চড়াও হয় আব্দুল। এক প্রতিবেশীও জখম হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”