রাজধানীতে উত্তর-পূর্বের ছাত্রদের উপর হামলা যেন থামতেই চাইছে না। নিদো টানিয়া, সালোনির পর এ বার জিনরাম কেঙ্গো। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত্যু হল পিএইচডি-র এই ছাত্রের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির কোটলা মুবারকপুর এলাকায়।
৩৩ বছরের জিনরাম মাত্র কয়েক মাস আগে দিল্লি এসেছিলেন। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোস্যাল সায়েন্সের এই ছাত্র পড়াশুনার সুবিধার জন্যই দক্ষিণ দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘরের মধ্যেই তাঁর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘরের কার্পেটের উপর পড়ে ছিল জিনরামের দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল পুরো ঘর। তাঁর গলায় গভীর ক্ষত ছিল। পুলিশের অনুমান, গলার আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই মণিপুরী ছাত্রের। জিনরামের পাশেই অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বাড়ির মালিকের ভাইকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে নয়, খুনের পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছাত্রদের উপর আক্রমণের ঘটনা রাজধানীতে নতুন নয়। গত ২১ জুলাই এই একই এলাকায় সালোনি নামে মণিপুরী এক ছাত্রের উপর এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। রাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, পথে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ব্যাপক মারধর করে। পরে হাসপাতালে সালোনির মৃত্যু হয়। ঠিক একই রকম ভাবে চলতি বছরের গোড়ায় দুষ্কৃতীদের মারে মৃত্যু হয়েছিল অরুণাচলপ্রদেশের বাসিন্দা নিদো টানিয়ার। তাঁর মৃত্যুর পর দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিন্তু এত সবের পরেও রাজধানীতে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের উপর নিগ্রহের চিত্রটা এতটুকুও যে বদলায়নি, বুধবার রাতের হামলা ফের এক বার সে কথাই প্রমাণ করল।