আহতদের নিয়ে বিমানের দিকে এগোচ্ছে নেপালি সেনাবাহিনী। ছবি: রয়টার্স।
মৃত্যু-মিছিলের পরিসংখ্যানে ৮১ বছর আগের দুঃস্বপ্নকেও ছাপিয়ে যেতে পারে গত শনিবারের দুপুর! সে দিন নেপাল ছাড়াও পড়শি দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চিনের তিব্বতে অনুভূত হয়েছিল ভূমিকম্পের তীব্রতা। সরকারি ভাবে সেই বিধ্বংসী ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪৩৪৯ বলা হয়েছে। আর, মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার আশঙ্কা, “সে সংখ্যা পেরোতে পারে দশ হাজারের গণ্ডি!” উদ্ধারকাজ আরও জোরদার করার জন্য এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণসামগ্রী-সহ ওষুধপত্র যাতে দ্রুত পৌঁছয়, তারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা সত্যি হলে গত শনিবার ভূকম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃতের সংখ্যা ভেঙে দিতে পারে ১৯৩৪ সালের রেকর্ড। জানুয়ারির সেই দুপুরের ঘটনায় নেপাল-বিহার মিলিয়ে প্রাণহানি হয়েছিল ৮৫০০ জনের।
শনিবারের ভূমিকম্পের সময় প্রধানমন্ত্রী কৈরালা বিদেশে ছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার দেশে ফিরেই উদ্ধারকাজে জড়িত সরকারি দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের দিকে জোর দেন তিনি। এ ছাড়া, ত্রাণের কাজে বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভূমিকম্পের ঘটনায় সাত হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এক মিলিয়ন ডলারের অর্থসাহায্য আগেই পাঠিয়েছিল মার্কিন সরকার। এ দিন আরও নয় মিলিয়ন ডলারের অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে তারা। এ ছাড়া, ত্রাণের কাজেও এগিয়ে এসেছে মার্কিন বায়ুসেনা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের সচিব অ্যাস্টন কার্টার জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজের জন্য বায়ুসেনার দু’টি সি-১৭ বিমান নেপালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, ১৩০ জনের একটি বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছ’টি কুকুর-সহ ৪৫ টনের কার্গো পাঠানো হবে সে দেশে।