মহানগরীর মুখ ঢাকল মেঘে। মঙ্গলবার সুদীপ্ত ভৌমিকের তোলা ছবি।
কালবৈশাখীর চোখরাঙানিতে সাময়িক ভাবে ব্যাকফুটে যেতে হয়েছিল আইপিএলকে। কিন্তু, সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে হাসি ফুটল যুবভারতী তথা আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর মুখে। আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল অষ্টম আইপিএল! সঞ্চালক সইফ আলি খানকে মঞ্চে দেখেই উল্লাসে ফেটে পড়ল যুবভারতী। বোঝা গেল, মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে কলকাতার দর্শকদের উৎসাহে একফোঁটাও ভাটা পড়েনি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলে গেলেও তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তারা।
এ দিন সন্ধ্যায় আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কাই সত্যি হল! কালবৈশাখীর দাপটে নির্ধারিত সময়ের থেকে পিছিয়ে গেল অষ্টম আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় যত এগিয়ে আসছিল, ততই কালবৈশাখীর মেঘ তার উচ্চতা বাড়িয়ে বধর্মান থেকে এগোচ্ছিল কলকাতার দিকে। মঙ্গলবার দুপুরেই উপগ্রহ চিত্রে ঝাড়খণ্ডের আকাশে ধরা পড়েছিল মেঘপুঞ্জ। আর তখন থেকে দফায় দফায় উপগ্রহ চিত্রের ছবির দিকে নজর রেখে চলেছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। বিকাল সাড়ে ৫টার সময়ে দেখা যায় উল্লম্ব মেঘপুঞ্জটি সরে এসেছে বর্ধমানের উপরে। তখনই আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়ে দেয়, গোটা দক্ষিণবঙ্গই এ দিন সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর কবলে পড়বে।
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ব্যাহত হবে কি? প্রশ্ন ছিল সকলের মনে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় কলকাতা হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছিলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড়। তার পরেই নামবে বৃষ্টি।” তবে ঝড়ের গতি কত হবে, বৃষ্টির পরিমাণ কী হবে তা ওই সময়ে উল্লম্ব মেঘপুঞ্জের উচ্চতা কী থাকবে তার উপরে নির্ভর করবে বলে জানিয়ে দেন গোকুলবাবু।
সেই পূর্বাভাসই মিলে গেল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রবল বৃষ্টিতে ভাসল মহানগরীর পথঘাট। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পিছোলেও রাত ৯টা নাগাদ তা শুরু হওয়ামাত্রই বোঝা গেল, প্রতি বারের মতো এ বারেও মাসদেড়েকের জন্য বদলাবে আমজনতার প্রাত্যহিক রুটিন। আইপিএল উৎসব যে!