রানাঘাট কাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যে ফের ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। প্রতিবেশী যুবকের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে হুগলির হিন্দমোটরে হিন্দুস্তান মোটর কারখানার শ্রমিক আবাসনে। ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গুড্ডুকুমার ঠাকুর এবং অমিতকুমার ঠাকুর ওরফে পিন্টু এবং প্রকাশ মণ্ডল নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গুড্ডু গ্বালিয়রে সেনাবাহিনীর কনস্টেবল পদে কর্মরত। নির্যাতিতাকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। ধৃত তিন জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীরামপুর আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ঘরের পাশে শৌচালয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সেই সময় প্রধান অভিযুক্ত গুড্ডু শৌচালয়ের ভিতরেই তাকে ধর্ষণ করে। বাইরে তখন পাহারা দিচ্ছিল অমিত এবং প্রকাশ। মেয়ে অনেক ক্ষণ ফিরছে না দেখে তার বাবা তাকে খুঁজতে বের হন। শৌচালয়ের বাইরে দুই প্রতিবেশী যুবককে সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এবং শৌচালয়ের ভিতর থেকে মেয়ের গোঙানির আওয়াজ পেয়ে সেখানে যান তিনি। অভিযোগ, সন্দেহ হওয়ায় দুই যুবককে জেরা করলে তাঁকেই গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করে ওই দু’জন। উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে রাতেই গুড্ডু এবং পিন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয় প্রকাশকে। পরে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।