অভিভাবকহীন দিল্লি বিধানসভায় রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল নাজিব জঙ্গের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালো সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি বিধানসভা ভেঙে নতুন করে ভোট করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা প্রশান্ত ভূষণ। রাজধানীতে সরকার গড়তে সব দলকে নিয়ে গত বুধবার বৈঠক করেন নাজিব জঙ্গ। সেই প্রচেষ্টাকে সময় দিতে শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল না কোনও দলের কাছেই। বিজেপি ৩১টি আসন পেলেও সরকার গড়তে আগ্রহ দেখায়নি। কংগ্রেসের আট বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়লেও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি কেজরীবালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকার। ৪৯ দিনের মাথায় চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্তফা দেন তিনি। এর পর থেকেই রাজধানীতে চলছে রাষ্ট্রপতি শাসন। অচলাবস্থা কাটাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বার বার বৈঠক করেন উপ-রাজ্যপাল জঙ্গ। তবে লাভ কিছু হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকলেও মাসখানেক আগে বিজেপিকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানাতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমতি চান উপ-রাজ্যপাল। প্রতিবাদে জঙ্গের বিরুদ্ধে পথে নামে আম আদমি পার্টি। এরই মধ্যে প্রশান্ত ভূষণের মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লিতে অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এ দিন শুনানির সময়ে প্রশান্ত ভূষণের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দিল্লিতে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ফেরাতে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না কেন্দ্র। উল্টে বিধায়ক কেনাবেচায় মদত দেওয়া হচ্ছে। এখনই বিধানসভা ভেঙে ভোট না করলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে শীর্ষ আদালতে দাবি করেন তিনি। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ উপ-রাজ্যপালের পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে শুনানি আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত রাখে। প্রশান্তকে আশা না ছাড়তে বলে প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু জানান, সরকার সংখ্যালঘু হলেও ফের ভোট না করে দিল্লিতে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ফেরার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা।