প্রথম বারের প্রচেষ্টাতেই এসেছিল সাফল্য। আর এ বার ইসরোর সেই সাফল্যের মুকুটে যোগ হল নতুন পালক। টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে বর্ষসেরা আবিষ্কারের সেরা পঁচিশের তালিকায় স্থান পেল মঙ্গলযান। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হওয়ায় ইসরোর এই মঙ্গল অভিযানকে কুর্নিশ করে টাইমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে মহাকাশবিজ্ঞান চর্চায় নিজেদের আরও মেলে ধরতে পারবে ভারত।
গত বছর নভেম্বরে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১১ মাস ধরে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছয় মঙ্গলযান। প্রথম বারেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই প্রচেষ্টার সাফল্য নিয়ে সন্দিহান ছিল অনেক দেশই। অভিযানকে কটাক্ষ করে একে ‘ভারত থেকে এক বারে গল্ফ বল ইউরোপে হোল’ করার সঙ্গে তুলনা করেছিল চিন। মঙ্গলযান সম্পর্কে টাইম জানিয়েছে, ইসরোর আগে কোনও সংস্থা বা দেশই প্রথম বার মঙ্গল অভিযানে সাফল্য পায়নি। আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাকে টপকে সেই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে ইসরো। একই সঙ্গে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে সফল মঙ্গল অভিযানের সম্মানও এসেছে ভারতের ঝুলিতে। প্রকল্পের মোট খরচ নিয়েও ইসরোর প্রশংসা করা হয়েছে। মঙ্গল অভিযানে মোট খরচ হয়েছে ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একটি হলিউড ফিল্মের বাজেটই এর থেকে বেশি থাকে। একাধিক অ্যাকাডেমি পুরস্কারজয়ী ‘গ্র্যাভিটি’র বাজেট ছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ইসরোর বিজ্ঞানীদের দাবি, সরল প্রযুক্তি এবং যন্ত্রের ব্যবহারের জন্যই প্রকল্পের খরচ এত কম রাখা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলযানের সঙ্গে বর্ষসেরার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে আরও দুই ভারতীয়ের আবিষ্কার— সংশোধনাগারের বন্দিদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার জন্য ‘ব্লু রুম’ আবিষ্কারের জন্য অধ্যাপক নলিনী নাদকার্নী এবং শিশুদের জন্য ‘অসমো’ নামক একটি খেলনা ট্যাবলেটের জন্য প্রাক্তন গুগল ইঞ্জিনিয়র প্রমোদ শর্মা।