প্রয়াত হলেন অভিনেতা দেবেন বর্মা। পুণের সহ্যাদ্রি হাসপাতালে মঙ্গলবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৭৭ বছরের এই শিল্পীর।
গত দেড় বছর ধরে সুগার, হৃদযন্ত্র এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ৩৫ বছর ধরে সুগারের রোগী ছিলেন দেবেন। সে কারণে পরের দিকে তাঁর হৃদযন্ত্র এবং কিডনির সমস্যা শুরু হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছিল না বলে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউ-তে ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই মারা যান বর্ষীয়ান ওই অভিনেতা। শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ইয়েরওয়াডায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
ফিল্মি দুনিয়ায় আসার পর প্রচুর চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। সিরিয়াস ভঙ্গিমার পাশাপাশি কৌতুক মেশানো অভিনয় চলচ্চিত্র জগতে খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে বিখ্যাত করে তোলে। কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অঙ্গুর, গোলমাল, রঙ্গবিরঙ্গী, চোরি মেরা কাম, চোর কে ঘর চোর প্রভৃতি ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকের মনে হাসির রোল তোলে। সাম্প্রতিক কালেও প্রচুর ছবিতে অভিনয় করেছেন দেবেন। দিল তো পাগল হ্যায়, ক্যায়া কহনা, সালাখেঁ, মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়, হালচাল— তালিকা শেষ হওয়ার নয়। ২০০৩-এ তাঁর শেষ ছবি ‘ক্যালকাটা মেইল’ রিলিজ করে।
রাষ্ট্র ও সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র দেবেনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পুণেতেই। ১৯৫৩-৫৭, তিনি পুণের নওরসজি ওয়াডিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। ২০১২-য় তাঁকে এই কলেজের কৃতী ছাত্র হিসেবে সম্বর্ধিত করা হয়। কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, সেই অনুষ্ঠানে দেবেন বলেছিলেন, ‘কলেজের নাট্য উত্সবই আমাকে অভিনয়ের প্রাথমিক পাঠ দিয়েছে। ভবিষ্যতে অভিনয়কে পেশা করার সাহসও জুগিয়েছিল কলেজের নাট্যোত্সব।’ অনেক পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন দেবেন। কিন্তু, গুলজার, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় এবং বাসু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালিত বিভিন্ন ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শক মনে আজও অমলিন। বেশ কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। চোরি মেরা কাম, চোর কে ঘর চোর এবং অঙ্গুর ছবির জন্য চলচ্চিত্র উত্সবে শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতার খেতাবও পেয়েছিলেন দেবেন।